ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

দেনমোহর হিসেবে ১০ বই নগদ, ৯১ বই বাকি রেখে বিয়ে

  বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৫০

১০১ বই দেনমোহরে নিখিল-সান্তনার বিয়ে
ছবি: প্রতিনিধি

যুগ যুগ ধরে বিবাহবন্ধনে দেনমোহর হিসেবে টাকা বা স্বর্ণালঙ্কারের প্রচলন থাকলেও ১০১টি বই দেনমোহর হিসেবে চেয়ে এলাকায় এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সান্তনা খাতুন। সান্তনা খাতুন তার প্রেমিক নিখিল নওশাদের কাছে থেকে দেনমোহর হিসেবে চেয়েছিলেন তার প্রিয় ১০১টি বই। সান্তনার চেয়ে বসা ১০১টি বইয়ের মধ্যে গত এক সপ্তাহে নিখিল সংগ্রহ করেছেন ৭০টি বই।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ১০টি নগদ এবং ৯১টি বই বাকি রেখে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নিখিল নওশাদ ও সান্তনা। বিয়েতে ব্যতিক্রমী এই দেনমোহর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ এলাকায় সাড়া ফেলেছেন তারা।

জানা যায়, গত এক দশক ধরে নিখিল নওশাদ কবিতা লিখছেন। কবিতার মাধ্যমেই সান্তনার সঙ্গে তার পরিচয়। এরপর একে অপরকে ভালোলাগা, অতঃপর প্রেম-ভালোবাসা। শেষ পর্যায়ে ঘর-সংসার করার জন্য বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। তরুণ কবি নিখিলের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের সাতরাস্তা গ্রামে। সান্তনা সোনাতলা উপজেলার কামালেরপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে। দুজনই পড়াশোনা করেছেন বগুড়া সরকার আজিজুল হক কলেজে। নিখিল স্নাতক শেষ করেছেন। আর সান্তনা ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক করছেন।

নিখিল ‘বিরোধ’ নামের একটি ছোট কাগজের সম্পাদক। পাশাপাশি বেসরকারি একটি কোম্পানির বিক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। সান্তনা বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

নিখিল নওশাদ বলেন, সম্প্রতি দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে সান্তনা দেনমোহর হিসেবে তার প্রিয় ১০১টি বই চেয়ে বসে। গত এক সপ্তাহে ঢাকা ও বগুড়ার বিভিন্ন বইয়ের দোকান থেকে ৭০টি বই সংগ্রহ করি। তবে সবগুলো দেনমোহর হিসেবে যোগ হবে না। বাছাই করে কিছু বই বাদ দেয়া হবে। বাকিগুলো পরে শোধ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দেনমোহর হিসেবে বই দেয়ার বিষয়টি জানার পর কাজী বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে গোসাইবাড়ী কাজী অফিস থেকে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।

সান্তনা খাতুন বলেন, কবিতা পড়ে নিখিলের প্রেমে পড়েছি। বই অমূল্য সম্পদ। তাই দেনমোহর হিসেবে ১০১টি বই চেয়ে বসেছি। একটা পারিবারিক গ্রন্থাগার গড়ার স্বপ্ন রয়েছে। যেখানে দেনমোহর হিসেবে পাওয়া বইগুলো সাজিয়ে রাখবো। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, আমাদের ভালোবাসা যেনো অমর হয়ে ধাকে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত