ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

কক্সবাজারের এমপি জাফর ও তার স্ত্রী-সন্তানকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৩৫

কক্সবাজারের এমপি জাফর ও তার স্ত্রী-সন্তানকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
কক্সবাজারের এমপি জাফর ও তার স্ত্রী-সন্তান। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন নিজ কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় ২ ঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন তাদের আলাদা চিঠি পাঠান।

চিঠিতে এমপি জাফর আলম, তার স্ত্রী শাহেদা বেগম, ছেলে তুহিন আলম ও মেয়ে তানিয়া আফরিনকে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর দুদক কক্সবাজার কার্যালয়ে হাজির হয়ে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়। কিন্তু ওই দিন সময় চেয়ে আবেদন করলে গতকাল মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করে দুদক।

দুদকের সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, জাফর-শাহেদা দম্পতি ও তাদের দুই সন্তানকে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নিজেদের সম্পদের বিবরণ দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দুদকের দেয়া নোটিশে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য জাফর আলমের ক্ষমতা ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে স্ত্রী শাহেদা বেগম সরকারি জমি, চিংড়ি ঘের, জলমহাল দখল, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হলেও দীর্ঘদিন কর্মক্ষেত্রে তার অনুপস্থিত থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়। তবে স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদের অনুসন্ধানকে ‘চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছেন সংসদ সদস্য জাফর আলম।

গত ২১ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক খান মো. মাজানুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক স্মারকে সংসদ সদস্য জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা বেগমের সম্পদ তদন্তের নির্দেশনা দেয়া হয়।

ওই স্মারক সূত্রে উল্লেখ করা হয়, শাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত