কুষ্টিয়ায় হত্যার দায়ে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়েদে তিনজনের কারাদণ্ড
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৫৫ আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৫৬
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালহত।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়ার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক বচারক তাজুল ইসলাম মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮), তার ভাই কনক (২১) এবং একই এলাকার ঘরি উদ্দিনের ছেলে রফিক (৩৭)। রায় ঘোষণাকালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেন আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৯ মে সকাল ১০টায় জমিজমা মাপজোখ নিয়ে দ্বন্দ্বে ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ এলাকার রজব আলীকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। ধারারো অস্ত্রের আঘাতে তাৎক্ষণিক তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ইদবার মন্ডল ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ৬ জনের বিরুদ্ধে রজব আলী হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ভেড়ামারা থানার উপপুলিশ পরিদর্শক শওকত আলী। পরে আসামিদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রায়ের দিন ধার্য করেন বিজ্ঞ আদালত।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, ভেড়ামারা থানার জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে রজব আলীকে হত্যার দায়ে ৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। আসামি আনোয়ার হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড, আসামি রফিককে চার বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং কনককে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসাথে মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ফারুক, আনোয়ারা ও মমতাজকে এই মামলা থেকে মুক্তি দেন আদালত।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে
