ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

গভীর শ্রদ্ধায় সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:২২

গভীর শ্রদ্ধায় সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
গভীর শ্রদ্ধায় সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত। ছবি: প্রতিনিধি

গভীর শ্রদ্ধার কুড়িগ্রামে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সকল স্তরের মানুষজন। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কবির শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী জন্ম শহর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে তাকে সমাধিত করা হয়।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে শায়িত লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সমাধিতে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষজন ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত প্রশাসক মোঃ মিনহাজুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ মোঃ মির্জা নাসির উদ্দীন, একুশে পদকপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন, কবির পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক প্রমুখ।

প্রয়াত লেখক সৈয়দ শামসুল হকের পুত্র দ্বিতীয় সৈয়দ হক বলেন, আমার বাবার কবরে সমাধি ও কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজটি ঝুলে আছে। আমি চাই দ্রুত এ কাজটি শুরু করা হোক।

কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন, দেশবরেণ্য লেখক সৈয়দ শামসুল হকের সমাধিসৌধ ও কমপ্লেক্সটি নির্মাণ হলে এখানে তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে গবেষণা হবে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এখানে এসে তার বই পড়তে পারবে।

'ঝুলে আছে সৈয়দ শামসুল হকের সমাধিসৌধ ও কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ'

বাংলা সাহিত্যের সব্যসাচী খ্যাত সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরের থানা পাড়ার পৈত্রিক নিবাসে জন্মগ্রহণ করেন। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের মধ্যে সবার বড়। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। বাবা পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার।

বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় সমানভাবে পদচারণার জন্য সৈয়দ শামসুল হককে সব্যসাচী লেখক বলা হয়। তিনি ১৯৬৪ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন। ১৯৬৬ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে ১৯৮৪ সালে একুশে পদক এবং ২০০০ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সকল স্তরের মানুষজন

১৯৫০-এর দশকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস 'দেয়ালের দেশ'। এছাড়া তার লেখা অন্যান্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে- খেলারাম খেলে যা, নিষিদ্ধ লোবান, সীমানা ছাড়িয়ে, নীল দংশন, বারো দিনের জীবন, তুমি সেই তরবারী, কয়েকটি মানুষের সোনালী যৌবন ও নির্বাসিতা অন্যতম। তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- একদা এক রাজ্যে, বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা, পরানের গহীন ভিতর, অপর পুরুষ, অগ্নি ও জলের কবিতা। সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কাব্যনাট্য- পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় ও নুরুলদীনের সারা জীবন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত