ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

হত্যার দায় স্বীকার করা সেই রোহিঙ্গা তরুণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:৩৭

হত্যার দায় স্বীকার করা সেই রোহিঙ্গা তরুণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না!
হত্যার দায় স্বীকার করা সেই রোহিঙ্গা তরুণ। ফাইল ছবি।

কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে চার রোহিঙ্গা মাঝিকে (রোহিঙ্গা নেতা) হত্যার দায় স্বীকার করে ভিডিও বার্তা দেয়া সেই তরুণ মোহাম্মদ হাশিমকে খুঁজে পাচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) সৈয়দ হারুণ অর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, ভিডিও বার্তাটি প্রচারের পর থেকে মোহাম্মদ হাশিমের সন্ধানে মাঠে নামে এপিবিএন। আজ দুপুর পর্যন্ত হাশিমের খোঁজ মেলেনি। ভিডিওটি পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। হাশিমের বক্তব্য যে সঠিক, সেটা মেনে নেয়ার কোনো কারণ নেই। এর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছেন তারা। ভিডিওতে যাদের নাম এসেছে, তাদের ব্যাপারেও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

বুধবারর ফেসবুকে ১ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ওই তরুণের ভিডিও বার্তাটি ছড়িয়ে পড়ে। ‘মো. আবদুল্লাহ মো. আবদুল্লাহ’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ওই আইডির কভার পেজে আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) লোগো রয়েছে।

রোহিঙ্গাদের আঞ্চলিক ভাষায় ধারণ করা ওই ভিডিওতে মোহাম্মদ হাশিম এক হাতে পিস্তল প্রদর্শন করে প্রথমে সবাইকে সালাম দেন। তারপর নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘আঁর (আমার) নাম মোহাম্মদ হাশিম, বাপন (বাবা) নাম মৃত আবদুল জব্বর, আঁই (আমি) বুচিডং অর (মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যের) কোয়ানচিমং পাড়ার। বাংলাদেশত হইলদে (আছি) ক্যাম্প-১৮, ব্লক-ইস্ট-৩।’

ভিডিওতে মোহাম্মদ হাশিম বলেন, অন্যের প্ররোচনায় ও টাকার বিনিময়ে নিজেদের গোষ্ঠীর (রোহিঙ্গা) লোকজনকে গুলি করে হত্যা করা ঠিক কাজ হয়নি। এ জন্য দোষ স্বীকার করে ভিডিও বার্তায় তিনি জাতিগোষ্ঠীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।

হাশিম আরও বলেন, ক্যাম্প-১৮-এর ২৫ জন রোহিঙ্গা তরুণকে ২৫টি পিস্তল দেয়া হয়। তাদের পিস্তল দিয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইসলামি মাহাসের জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভূঁইয়া, মৌলভি রফিক। এই চারজন ওই সংগঠনের নেতৃত্ব দেন। ভিডিও বার্তায় বলা হয়, ইসলামি মাহাসের কাজ হলো হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা। মানুষ হত্যার জন্য ২৫ রোহিঙ্গা তরুণকে দেয়া হয় মোটা অঙ্কের টাকা। তরুণদের মূল কাজ ছিল যারা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করেন, তাদের হত্যা করা। গত পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে তারা (তরুণেরা) তিন মাঝিসহ এক স্বেচ্ছাসেবককে হত্যা করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত