রাজধানীর বস্তিতে মিললো শিশুর মরদেহ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২২, ১৬:৪৩
রাজধানী বনানীর একটি বস্তি থেকে সাত মাস বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত শিশুর নাম রুমান ইসলাম।
হবিগঞ্জের আজমেরীগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের আইনুল ইসলামের তিন ছেলের মধ্যে সবার ছোট রুমান। বড় দুই ভাই রুহান ও সুহানসহ তার বাবা, মা ওই বস্তিতে থাকেন।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বনানীর কে-ব্লক, রোড-২২-এর ২৫ নম্বর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
শিশুটির বাবা আমড়া বিক্রেতা আইনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনি কাজে বের হন। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে খবর পান ছোট ছেলে রুমানকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খবর শুনে দ্রুত বাসায় গিয়ে তিনি স্ত্রী হনুফার কাছে শোনেন, সাড়ে ৩টার দিকে শিশুটিকে কোলে নিয়ে যখন হনুফা বেগম রান্না করছিলেন, তখন শিশুটি খুব কান্নাকাটি করছিলো। এটি দেখে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া শহিদুল স্বেচ্ছায় রুমানকে কোলে তুলে সেখান থেকে নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে তার মা তাকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে শহিদুলকে সন্তানের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে কোনো সদুত্তর দেয়নি। স্ত্রীর কাছে পুরো ঘটনা শুনে তখন আইনুলও শহিদুলের কাছে ছেলের বিষয়ে জানতে চান। তবে সে কোনো তথ্য দেয়নি।
স্বজনরা পরবর্তী সময়ে থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে থানা পুলিশ ওই বস্তিতে যায়। এরপর শহিদুলকে জিজ্ঞাসা করলে সে টিনশেড দোতলা বাড়ির চালের ওপর গাছের পাতা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় রুমানের মরদেহ দেখিয়ে দেয়।
আইনুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শহিদুল শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছে। তবে শহিদুলের সঙ্গে পারিবারিক বা অন্য কোনো কারণেই দ্বন্দ্ব নেই তাদের। কী কারণে শহিদুল শিশুটিকে হত্যা করতে পারে, সে বিষয়ে কিছু জানা নেই তার।
এদিকে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান, খবর পেয়ে রাতে বস্তির দোতলা বাড়ির চাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় প্রতিবেশী রিকশাচালক শহিদুল (১৪) নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শহিদুল হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
ওসি জানান, শহিদুল বলছে, শিশুটির মা তাকে মাঝেমধ্যে বকাঝকা করতো। তবে এটি এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ কি না বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিলো কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/রাজু
