ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

এক মাস ধরে পলাতক, ইউপি চেয়ারম্যানকে খুঁজছে পুলিশ

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২২, ১৭:১৩  
আপডেট :
 ০৫ অক্টোবর ২০২২, ১৭:৩৮

এক মাস ধরে পলাতক, ইউপি চেয়ারম্যানকে খুঁজছে পুলিশ
ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। ফাইল ফটো

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। চাঞ্চল্যকর শাকিল হত্যা মামলার প্রধান আসামি তিনি। এই ঘটনায় পরিষদ ছেড়ে ১ মাস ধরে পালিয়ে আছেন তিনি।

বুধবার এক মাস থেকে পরিষদে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্যানেল চেয়ারম্যান সৈকত হোসেন। তবে পলাতক থেকে এখনো বহালতবিয়তে ‘চেয়ারম্যানগিরি’ করে যাচ্ছেন রফিকুল।

স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী, পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যের নামে ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহীত হলে কিংবা আদালত অপরাধ আমলে নিলে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান বা সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের ব্যবস্থা নিতে হবে।

জানা গেছে, ৪ সেপ্টেম্বর বালিয়াডাঙ্গীতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভানোর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি শাকিল আহম্মেদের (২৫) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রোববার ভানোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন ভানোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নিহতের ভাই সাঈদ আলম।

পরে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেন। উচ্চ আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। ১২ সেপ্টেম্বর শাকিল হত্যা মামলার চার আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১০। তবে ধরাছোঁয়ার বাহিরেই আছেন প্রধান আসামি রফিকুল চেয়ারম্যান।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম ডন বলেন, এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রধান আসামি রফিকুল চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাকে গ্রেপ্তারের জন্যে খুঁজছি।

সবসময় 'সুবিধাজনক অবস্থন' খোঁজা রফিকুল ২০০২ থেকে ২০১১ সালে ভানোর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এরপর দল পরিবর্তন করে ২০১৯ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে যান। এরপর দলের সাথে বিদ্রোহ করে ২০২১ সালে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

ভানোর ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এক মাস থেকে পরিষদে অনুপস্থিত থাকলেও কার্যত কোনো ছুটি নেয়নি রফিকুল। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির অজুহাতে অধিকাংশ সেবা থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে স্থানীয়দের।

স্থানীয় সবুর আলী বলেন, প্রতিদিন ইউনিয়নের অনেক মানুষ পরিষদে এসে ঘুরে যাচ্ছে। পরিষদের লোকেরা চেয়ারম্যান না থাকার অজুহাত দিচ্ছে। বলছে চেয়ারম্যান আগে ফিরে আসুক। এখন কতদিনে চেয়ারম্যান আসবেন আর আমাদের কাজগুলো হবে, তা বুঝতে পারছি না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় পালাতক থাকলে বরখাস্ত হওয়ার কথা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুলের। তবে এ সংক্রান্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কারণ, বিপুল অর্থ খরচ করে তিনি সবাইকে দমিয়ে রেখেছেন।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুুমার রায় বলেন, এই উপজেলায় নতুন যুক্ত হয়েছি। ঘটনাটি আমার জানা ছিলো না। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে জানতে পেরেছি। দ্রুতই যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত