ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

লালমনিরহাটে চীনা রাষ্ট্রদূত

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের, তারপরও এটি করবো

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২২, ১৬:৪৭  
আপডেট :
 ০৯ অক্টোবর ২০২২, ১৭:২১

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের, তারপরও এটি করবো
তিস্তা ব্যারাজ এলাকা ও সেচ প্রকল্প পরিদর্শন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। সংগৃহীত ছবি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারাজ এলাকা ও সেচ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ তিন সদস্যের একটি দল। রোববার দুপুরে পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন তারা।

এ সময় রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকের বলেন, তিস্তা একটি বৃহৎ নদী। এটি খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হবে। এটি বাংলাদেশে আমার প্রথম কাজ। যদিও এ প্রকল্প বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জের, এরপরও এটি করবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা এসেছি নদীটি খননের সম্ভবতা যাচাই করতে। আমাদের প্রকৌশলীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর পরিকল্পনা করবো কবে থেকে কাজটি শুরু করা যায়। আশা করছি শিগগিরই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করতে পারবো। এটি শুধু এ অঞ্চলের মানুষের জন্য সুসংবাদ নয়, পুরো বাংলাদেশিদের গর্বের বিষয়ও।

হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত তিস্তা ব্যারাজ পরিদর্শনে এসে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। তারা কাজ করতে আগ্রহী। চীন ছাড়া তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব না। কারণ ভারত দিয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা আর চীন দিয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তরাঞ্চলের প্রকৌশলী আমিনুল হক ভূঁইয়া, লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, ডালিয়া পনি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ্দৌলা, লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএম মমিন, হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির আদলে তিস্তার দুই পাড়ে পরিকল্পিত স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলা হবে। এছাড়া নদী খনন ও শাসন, ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষিসেচ ব্যবস্থা, মাছ চাষ প্রকল্প ও পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে ৭ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ফলে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার আর্থিক সমৃদ্ধি হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত