ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভোলার চরাঞ্চলের কিছু এলাকা ৫ থেকে ৭ ফুট প্লাবিত

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২২, ১৮:৫৭  
আপডেট :
 ২৪ অক্টোবর ২০২২, ১৯:১০

ভোলার চরাঞ্চলের কিছু এলাকা ৫ থেকে ৭ ফুট প্লাবিত
ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভোলার চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু এলাকা ৫ থেকে ৭ ফুট প্লাবিত হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে জোয়ারে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চার-পাঁচটি চরের বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ১২ হাজার লোকের বসবাস। ইউনিয়নটি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বেলা ১১টার পর থেকে জোয়ারের উচ্চতা তিন-চার ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সেখানকার কিছু মানুষ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। এ ছাড়াও চরফ্যাশন উপজেলার চর পাতিলা ও চর নিজামের প্রায় তিন হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান জানান, পানিবন্দি মানুষকে মূল ভূখণ্ডে নিরাপদে আনার জন্য লঞ্চ ও ট্রালার পাঠানো হয়েছে। জোয়ারের উচ্চতা কমে গেলে ভাটার সময় তাদেরকে মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা হবে। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলগুলোতে সার্বিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গতকাল রোববার থেকে ভোলায় বৃষ্টি চলছে। সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সোমবার সকাল সাতটা থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও ভোলা-বরিশাল নৌপথে চলাচলকারী ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে লক্ষ্মীপুরগামী কোনো ফেরি ও লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। একইভাবে ভেদুরিয়া ঘাট থেকে বরিশালগামী ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে।

বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদীবন্দরের উপপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ভোলার নদীবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর সতর্কতা–সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ জন্য আজ সকাল থেকে ভোলার সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা রয়েছে।

ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর ১২টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোলায় ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। ভোলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১৫ নটিক্যাল মাইল বেগে দমকা হাওয়া বইছে। ভোলা ও ভোলার নৌবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর সতর্কতা–সংকেত দেখানো হচ্ছে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর পানি স্বাভাবিক রয়েছে। ভোলায় পাউবোর ৩৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ আছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো ইতিমধ্যে মেরামত করা হয়েছে। তারপরও পাউবোর কর্মকর্তারা সরেজমিন বিভিন্ন পয়েন্টে যাচ্ছেন, যেন ঘূর্ণিঝড়ে কোনো বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তা মেরামত করা যায়।

আরও পড়ুন-মোংলা-পায়রায় ৭, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত