ঢাকা, রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফরিদপুরে পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

  ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২২, ০৯:০২

ফরিদপুরে পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
পরিবহন ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরে ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলছে। মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধের দাবিতে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট চলবে শনিবার (১২ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত।

ধর্মঘটে আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও মিনিবাস বন্ধ আছে। পাশাপাশি সরকারি পরিবহন বিআরটিসির (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন) বাস চলাচলও বন্ধ আছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। অটোরিকশা ও মহেন্দ্রতেও গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকে। ফরিদপুর থেকে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ দূরের গন্তব্যে মানুষ অ্যাম্বুলেন্সে করে যাতায়াত করছে। সে ক্ষেত্রে তাদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়েও ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেশি।

এর আগে, ১০ নভেম্বরের মধ্যে বেশ কিছু দাবির বাস্তবায়ন চেয়ে জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের প্যাডে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়। এতে জানানো হয়, দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১১ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১২ নভেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত টানা ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলবে।

এদিকে, বিএনপি নেতারা বলছেন, সমাবেশে নেতা-কর্মীদের জনস্রোত ঠেকাতে সরকারের ইন্ধনে পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে কতিপয় মালিক শ্রমিক নেতারা।

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিবহন ধর্মঘটের সম্পর্ক নেই জানিয়ে বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি জুবায়ের জাকির বলেন, গত দুই মাস আগে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলা মিলে আমরা একটি সভার মাধ্যমে জানিয়েছিলাম। মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, নসিমন, করিমন বন্ধ না করা হলে ধর্মঘট আহবান করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মাসে খুলনা ও মাদারীপুরে আমরা একটি মিটিং করেছে। সেই সময়ে আমরা বলেছি মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধ না করা হলে নভেম্বর মাসের ১১ এবং ১২ তারিখ সকল প্রকার বাস চলাচল বন্ধ রাখা হবে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরীয়া স্বপন বলেন, বিগত বিএনপির সমাবেশগুলোতে আমরা এ নাটক দেখেছি। সরকারের প্ররোচনায় বাস মালিক সমিতি ধর্মঘট ডেকেছে। তবে কোনো ধর্মঘট ডেকে বিএনপির মহাসমাবেশ বন্ধ করা যাবে না। নেতাকর্মীরা যেভাবেই পারুক মহাসমাবেশে যোগ দেবে এবং সমাবেশকে সফল করবে।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং গণসমাবেশের সমন্বয়কারী শামা ওবায়েদ রিংকু বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘট সরাসরি ডাকুক কিংবা পরোক্ষভাবে ডাকুক গত পাঁচটি সমাবেশে আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে আমাদের সমাবেশের আগে ও সমাবেশের দিন তারা বাস বন্ধ করে দেবে। সব জায়গায় তা করেছে। জনগণের ভোগান্তি তাদের মাথায় নেই, তাদের চিন্তা বিএনপিকে বিপাকে ফেলানো। কিন্তু এতে কোনো কাজ হবে না। মানুষের আবেগ আটকে রাখা যায় না। সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। ওরা বাস চলতে দেবে না জেনেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ট্রলারে চড়ে, ভেলায় চড়ে এমনকি পায়ে হেঁটে সমাবেশে আসবে।’

আরও পড়ুন

৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলছে ফরিদপুরে

শর্ত না মানলে ফরিদপুরে বাস ধর্মঘটের হুমকি

ফরিদপুরে পরিবহন ধর্মঘট, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত