ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩২ মিনিট আগে
শিরোনাম

রাজবাড়ীতে সুগন্ধি আমনের দ্বিগুণ আবাদ

ভালো ফলন ও বাজার দর বেশি

  ইমরান হোসেন মনিম, রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২২, ১৩:৫৯

রাজবাড়ীতে সুগন্ধি আমনের দ্বিগুণ আবাদ
সুগন্ধি আমান ধানের খেত। ছবি: প্রতিনিধি

সাধারণ ধানের চাইতে বাজার দর বেশি হওয়ায় রাজবাড়ীতে এবছর সুগন্ধি আমান ধানের আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ। বাম্পার ফলন ও বাজারে এ ধানের চাহিদা বেশি থাকায় লাভও বেশি পাচ্ছেন সুগন্ধি ধান চাষিরা। মুখোরোচক খাবার তৈরিতে সুগন্ধি এ ধানের কোন বিকল্প নেই। সিত্রাংয়ে কিছুটা ক্ষতি হলেও ফলন ও বাজার দর বেশির সাথে রবি মৌসুমে ফসলের প্রণোদনা প্রদান করোয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে জানান তারা।

কৃষি নির্ভর রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলা,বালিয়াকান্দি,পাংশা,গোয়ালন্দ ও কালুখালী এ পাঁচটি উপজেলাতে ধান চাষ হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি। এবছর এ অঞ্চলগুলোতে সুগন্ধি আমন ধানের চাষ বেশি হয়েছে। গত বছরের চাইতে দ্বিগুণ সগন্ধি ধানের আবাদ হয়েছে এ জেলায়। এর মধ্যে কালোজিরা, বাদশাভোগ, চিনি আতপ ব্রি-৩৪ ও ব্রি-৭৫, এ পাঁচ জাতের সগন্ধি ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। গতবছরের চাইতে এবছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪ হাজার ৪শ ১১ হেক্টর সুগন্ধি ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ৫ হাজার ৭শ ৪৪ হেক্টর। চলতি বছর দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ১৭৫ হেক্টর। সুগন্ধি জাতের এ ধানগুলো সাধারণত অন্যান্য ধানের চাইতে বাজার দর দ্বিগুণেরও বেশি থাকে। এ কারণে এই ধানের আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণত পোলাও, বিরিয়ানি,পায়েশ, জর্দ্দা ও বিভিন্ন ধরনের পিঠা জাতীয় মুখোরোচক খাবার তৈরিতে সুগন্ধি এ চালের কোন বিকল্প নেই। তবে সুগন্ধি জাতের ধানের পাশাপাশি আমন ধানের বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদও বেশি হয়েছে। গত বছরের চাইতে এবছর ২ হাজার হেক্টর ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ হাজার হেক্টর আমন আবাদ হয়েছে। এবছর ধানের বাজার দর ও ফলনের কারণে সিত্রাংয়ে ক্ষতির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে জানান চাষিরা।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের ব্রাম্মনদিয়া গ্রামের সুগন্ধি ধানচাষি আবুল কালাম জানান, তিনি এবছর এক বিঘা জমিতে সুগন্ধি জাতের কালোজিরা ও চিনি আতপ ধানের আবাদ করেছেন। সাধারণ আমন ধানের আবাদের চাইতে খরচ কম ও দাম বেশি হওয়ায় তিনি এর আবাদ গত বছরের চাইতে বেশি করেছেন। তার মত আরও কৃষক, ওয়াজ কুরুনি, বাচ্চু তালুকদার ও হোসন আলীসহ অন্যান্য কৃষক এ ধানের আবাদ করেছেন। সাধারণ আমন ধানের চাইতে সুগন্ধি ধান ও চালের বাজার দর দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে থাকে। এ ধানের আবাদে খরচও কম। তাই এ জাতের ধান চাষে তাদের লাভও হয় বেশি।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন সেক জানান, রাজবাড়ীতে এবছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কালোজিরা, বাদশাভোগ, চিনি আতপ, সুগন্ধি ধানের পাশাপাশি ব্রি-৩৪ ও ব্রি-৭৫ জাতের এসব নতুন সুগন্ধি জাতের আমন ধানের ফলন বেশি এবং বাজার দর বেশি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে সিত্রাংয়ের কারণে ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও বাজার দর ভালো থাকায় তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। তবে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সদর উপজেলায় ১৩ হাজারেরও বেশি কৃষকের মাছে রবি ফসলের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত