ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

নিবন্ধন চাওয়া নতুন দলের আবেদন বাছাই শুরু

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২২, ১২:২৭

নিবন্ধন চাওয়া নতুন দলের আবেদন বাছাই শুরু
নির্বাচন কমিশন। ফাইল ছবি

নিবন্ধন চাওয়া নতুন দলগুলোর আবেদন যাচাই শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, আবেদনে অন্তত ৯ ধরনের তথ্য পূরণ করতে হয় এবং সেই সঙ্গে ১০ ধরনের দলিলপত্রের সংযুক্তি দিতে হবে।

মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নিবন্ধন আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এ সংক্রান্ত ইসি সচিবালয়ের একটা কমিটি করা হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে উপস্থাপনের পর কমিশন দেখবে।

বর্তমানে ইসির অধীনে ৩৯টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। এবার সব প্রক্রিয়া উৎরাতে পারলে যুক্ত হবে নতুন কোনো দল, যারা অংশ নিতে পারবে পরবর্তী সংসদ নির্বাচনে। নিবন্ধন পেতে আগ্রহী ৯৩টি আবেদনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কোনো দল টিকবে কি না, জানা যাবে এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে।

এর মধ্যে নিবন্ধন আবেদন করা কয়েকটি দল নিয়ে আপত্তি উঠেছে। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো দলকে নিবন্ধন না দেয়ার জন্য দাবি জানানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে আবেদন করা দলগুলোর মধ্যে কোনো কোনো দল জমা দেয়নি প্রয়োজনীয় চালানের টাকা, কোনোটির কেন্দ্রীয় কমিটির নাম-পদবী দিয়ে পূর্ণাঙ্গ তালিকায় সঙ্গতি নেই, কোনো দলের নেই গঠনতন্ত্র, কোনো দলের নিবন্ধনের ন্যূনতম শর্ত পূরণের দালিলিক প্রমাণ নেই কিংবা ঘাটতি রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের।

২০২৩ সালের শেষে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। ভোটের ছয় মাস আগেই রোডম্যাপ অনুযায়ী সম্পন্ন করা হবে নিবন্ধনের পুরো কাজ।

কমিটির সদস্য সচিব ও ইসির উপ সচিব আব্দুল হালিম খান জানান, তিন-চার ধাপে বাছাইয়ের কাজ চলছে। কমিশনের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র যথাযথ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করছে। যেসব দলের আবেদন অযোগ্য হবে তা জানিয়ে দেয়া হবে। সেই সঙ্গে বিধি অনুযায়ী সঠিকতা যাচাই, আপত্তি-নিষ্পত্তি, মাঠ পর্যায়ে তদন্ত, ত্রুটি সংশোধনে ১৫ দিন সময় দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। এরপর যোগ্য থাকলে নিবন্ধন সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হবে।

বাছাইয়ের প্রক্রিয়া

ন্যূনতম কাগজপত্র ও তথ্য না থাকলে আবেদনপত্র বিবেচনা করা হবে কি না, তা বাছাই কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।

কোনো দলের নিবন্ধন নিয়ে কারও আপত্তি রয়েছে কি না দেখবে। বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর আপত্তি পেলে দুই পক্ষের শুনানি আবেদন মঞ্জুর বা না মঞ্জুর করতে পারে। আপত্তি না পেলে আবেদন নেবে।

প্রাথমিক তথ্য উপাত্ত-দলিল যাদের রয়েছে, কোনো ধরনের সামান্য ঘাটতি তা ত্রুটি সংশোধনের থাকলে বিধি মেনে তা জমা দিতে সময় দেওয়া হবে। কাগজপত্র জমা না দিলে তো অযোগ্য বিবেচিত হবে; আর জমা দিলেও তা বাছাই কমিটি দেখে করণীয় নির্ধারণ করবে।

মাঠ পর্যায়ে তদন্তে পাঠানোর মতো ক’টি দল রয়েছে, বাছাই কমিটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে। এসব দলের আবেদনপত্রের দলিলাদি ও তথ্য সঠিকতা যাছাইয়ে তদন্তে যাবে এবং সংশ্লিষ্ট অনেক নির্বাচন কর্মকর্তা সম্পৃক্ত করা হবে। এ কাজটি করতে সময় লাগবে। কারণ, কেন্দ্রীয় দপ্তর ও কমিটির পাশাপাশি এক তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলা, ন্যূনতম একশ’ উপজেলার দু’শ ভোটারের সমর্থন তালিকা রয়েছে। অসত্য তথ্য মিললেই ঝরে যাবে।

কোনো রকম বাছাইয়ে উৎরে যাওয়ার মতো দল থাকলেও শেষধাপে নিবন্ধন সার্টিফিকেট পাবে, যা গেজেট আকারে প্রকাশ হবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবেদন আহ্বান করে ইসি। জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে ৯৮টি আবেদন থেকে কয়েকটি একাধিকবার হওয়ায় বাদ দিয়ে ৯৩টি দলের আবেদন পেয়েছে বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত