ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

এমআইএসটি’র একাডেমিক-প্রশাসনিক ভবন উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৯:৪৫

এমআইএসটি’র একাডেমিক-প্রশাসনিক ভবন উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান
ছবি: আইএসপিআর

এমআইএসটির অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ ফ্যাকাল্টি টাওয়ার ৩, ৪, এ্যাডমিন টাওয়ার এবং হল অফ ফ্যামের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ায় ভবনগুলোর উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) ১৯৯৯ সালে নতুন কোনো অবকাঠামো নির্মাণ ছাড়া সেনাবাহিনীর নিজস্ব স্থাপনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০ জন ছাত্র অফিসার নিয়ে মিরপুর সেনানিবাসে যাত্রা শুরু করে।

বর্তমানে চারটি অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে মোট ২ হাজার ৯১৭ জন ছাত্র/ছাত্রী অধ্যয়ন করছেন। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি এমআইএসটিতে ৮টি বিভাগে এমএসসি, ৩টি বিভাগে এমফিল এবং ৭টি বিভাগে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু আছে।

মঙ্গলবার সেনাপ্রধান ছাড়াও ভবনগুলোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এমআইএসটির সাবেক কমান্ড্যান্ট, সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থাপনাগুলো উদ্বোধনের মাধ্যমে এমআইএসটির প্রতিটি অনুষদের বিপরীতে একটি করে স্বতন্ত্র টাওয়ার ভবনে একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। উদ্বোধনকৃত ফ্যাকাল্টি টাওয়ারগুলো সর্বাধুনিক (স্টেট অব আর্টস) গবেষণাগার বিদ্যমান রয়েছে। যা এমআইএসটি তথা বাংলাদেশের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিশেষ অবদান রাখবে।

হল অব ফেমের দেয়ালে সংরক্ষিত হয়েছে এমআইএসটির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের নাম, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাগুলোর উল্লেখযোগ্য সাফল্য। সেনাপ্রধানের উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করল এমআইএসটির পেট্রোলিয়াম ও লুব্রিকেটিং স্টেটিং ল্যাব, যা বাংলাদেশে ব্যবহৃত পেট্রোলিয়ামজাত জ্বালানির সঠিক মান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে তিনি সাইবার সিকিউরিটিতে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত সাইবার রেঞ্জও পরিদর্শন করেন।

নতুন উদ্বোধনকৃত প্রশাসনিক ভবনে ৪৫ হাজার বর্গফুটের এমআইএসটির সেন্ট্রাল লাইব্রেরি রয়েছে। এ লাইব্রেরির একটি অংশে একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রায় চার হাজার বই সম্বলিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে। যাতে আগামী প্রজন্মের ইঞ্জিনিয়াররা জাতির জনকের জীবন-কর্মকাণ্ড এবং স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে।

একই সঙ্গে লাইব্রেরিতে প্রায় দুই হাজার পাঁচশ বই নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ ‘শেখ রাসেল আঙিনা’। যা শেখ রাসেল সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের জানতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত