ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

গাজীপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

  গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৪০

গাজীপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি। ছবি: প্রতিনিধি

গাজীপুরের স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত শরীফুল আলম ওরফে শরিফুল ইসলাম (৪৫), নীলফামারী সদরের রামকলা মৌলভীপাড়া এলাকার নুর আলমের ছেলে। স্ত্রী মোহছেনা বেগমকে (৩৫) নিয়ে গাজীপুর মহানগরের কাশীপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ সুলতান মার্কেট এলাকায় জি.এম.এস গার্মেন্টস সংলগ্ন হাজী রুহুল আমিনের কলোনিতে ভাড়া থেকে স্বামী-স্ত্রী ঐ পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

গাজীপুর মহানগর আদালতের পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান খান জানান, আগের বিয়ে ও চার সন্তান থাকার কথা গোপন করে ঘটনার তিন বছর আগে রংপুরের পীরগাছা থানার সৈয়দপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের মেয়ে মোহছেনাকে বিয়ে করেন শরীফুল। পরবর্তীতে আগের বিয়ে ও সন্তান থাকার খবর ফাঁস হওয়ার পর থেকে মোহছেনার সঙ্গে শরীফুলের সাংসারিক কলহ লেগেই থাকতো। এক পর্যায়ে মোহছেনা শরীফুলকে তালাক দেন। তালাকের পর মোহছেনাকে শরীফুল বিভিন্নভাবে খুন-জখমের ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এরই জেরে ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর বসত ঘরের দরজা আটকে মোহছেনাকে বটি ও চাকুর আঘাতে খুন করে। পরে বন্ধ ঘরের দরজা খোলার জন্য ডাকচিৎকার করলেও দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেন নিহতের বোন মোসা. মমতাজ বেগম। খবর পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে ফেলার প্রস্তুতি নিলে শরীফুল ভেতরের ছিটকানী খুলে দেন। এসময় শরীফকে আটক করে। বের হওয়ার সময় শরীফের শরীরে বিভিন্ন স্থানে রক্তের দাগ ও ঘরের মেঝেতে মোহছেনার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় পুলিশ। ঘর থেকে খুনে ব্যবহৃত চাকু, বটি, রক্ত মাখা শার্ট জব্দ করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার শরীফুলের বিরুদ্ধে ভিক্টিমের ছোট ভাই মো. সাদ্দাম হোসেন কাশিমপুর থানায় ঘটনার দিনই মামলা করেন। গ্রেপ্তার শরীফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, ঘটনার দিন সকাল সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে স্বামী-স্ত্রী দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামী শরিফুল বটি দিয়ে কুপিয়ে ও ধারাল ছুরি দিয়ে গলা কেটে স্ত্রী মোহছেনাকে হত্যা করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাশিমপুর থানার এসআই তাপস কুমার ওঝা ২০২১ সালের ১০ মার্চ অভিযোগপত্র জমা দেন।

বাদি পক্ষের আইনজীবী হলেন (ভারপ্রাপ্ত পিপি) মো. মকবুল হোসেন কাজল এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ফারহানা খানম।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত