ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মানুষের আচরণ পরিবর্তন জরুরি’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৩৯  
আপডেট :
 ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৫০

‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মানুষের আচরণ পরিবর্তন জরুরি’
নিসচার অনুষ্ঠানে ইলিয়াস কাঞ্চন। ছবি: সংগৃহীত

‘সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে শৃঙ্খলা ও সচেতনতার পাশাপাশি মানুষের আচরণ পরিবর্তন জরুরি। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। পঙ্গুত্ব বরণ করে বোঝা হচ্ছে পরিবারের। তারপরও সড়কে ফিরছে না শৃঙ্খলা, সচেতন হচ্ছে না মানুষ।’

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)- এর ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ অনুষ্ঠান হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের এই অনুষ্ঠান থেকে সহায়তা করা হয়।

এসময় বক্তারা আরও বলেন, সড়ক নিরাপত্তায় জাতিসংঘ একটি প্রেসক্রিপশন ও পাঁচটি পিলার দিয়েছে। প্রত্যেকটিতে কিন্তু টার্গেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সড়কের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি স্টেপই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গে রোড সেফটি নিয়ে যারা কাজ করছি, আমরা ১১১টি সাজেশন দিয়েছি। প্রতিটি সাজেশনকে পরিকল্পনার মধ্যে ফেলে বাস্তবায়নের জন্য সাজাতে হবে এবং কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশি সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮- এর পরিপূর্ণ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। যার পরিবারে এটি ঘটে, তারা ছাড়া আর কেউ তা বুঝতে পারে না। আমাদের এটি প্রতিরোধ করতে হবে। চালক, গাড়ি, পথচারী, আচরণ, আইনের প্রয়োগের অভাব ও সচেতনতার অভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সড়ক ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে হবে।

আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, সরকার ইতোমধ্যে নিরাপদ সড়কের জন্য আইন প্রণয়ন করেছে। আইনের কিছু সংশোধনীও এসেছে। বিধিগুলো পুনরায় করা হচ্ছে। সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা থাকবে। তবে আমাদেরও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে নিরাপদ সড়ক চাই এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমার স্ত্রী মারা যায় ২২ অক্টোবর। আমি আন্দোলন শুরু করি ১ ডিসেম্বর। এত দেরিতে কেন শুরু করি, কারণ আমি বুঝতে চেয়েছিলাম নিরাপদ সড়কের জন্য কী করতে হবে এবং করতে পারব কি না। আন্দোলন করার মতো উদ্যোগ আমার আছে কি না, ত্যাগ কতটুকু করতে পারব, ধৈর্য কতটুকু ধরতে পারব, দেশের জন্য কতটুকু করতে পারব? এসব ভাবতে গিয়ে ১ মাস ৯ দিন সময় নিয়েছি। সবকিছু চিন্তা করে শুরু করেছিলাম নিরাপদ সড়ক আন্দোলন।

তিনি আরও বলেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন যারা করেন, তাদের কোনো স্বার্থ নেই। তারা দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবেসে এটি করেন।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নিসচা। ১ ডিসেম্বর এই কার্যক্রমের সূচনা করা হয়।

নিরাপদ সড়ক চাই এর মহাসচিব লিটন এরশাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ফিরোজ আলম মিলন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত