ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

রোববার চট্টগ্রাম যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, উদ্বোধন করবেন ৩০ প্রকল্প

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪৫

রোববার চট্টগ্রাম যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, উদ্বোধন করবেন ৩০ প্রকল্প
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

আগামীকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাচ্ছেন বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে। প্রধানমন্ত্রীর এই আগমনকে কেন্দ্র করে জেগে উঠেছে বন্দরনগরীর পাড়া-মহল্লা। ১০ বছর পর নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি। উদ্বোধন করবেন ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পও। এছাড়া ভিত্তিপ্রস্তরও হবে আরও একগুচ্ছ প্রকল্পের।

সরকার প্রধানের সফর ঘিরে নতুন সাজে সেজেছে বন্দরনগরী। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ১০ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম হবে জনসভায়। ।

পলোগ্রাউন্ড মাঠে নৌকার আদলে তৈরি হচ্ছে বিশাল মঞ্চ।

রোববার আওয়ামী লীগের সমাবেশে এই মঞ্চে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উজ্জীবিত নেতাকর্মীদের উচ্ছাসের কমতি নেই। উন্নয়নের বার্তায়, ব্যানার ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে গোটা নগরী। চলছে শোভাযাত্রাও।

উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় চট্টগ্রামকে নতুন করে সাজিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেতাকর্মীদের আশা উন্নয়নের ছোঁয়ায় আরও বদলে যাবে বাণিজ্যিক রাজধানী।

এর আগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ড মাঠের জনসভায় বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন তিনি পলোগ্রাউন্ডে ১৪ দলের মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। ১০ বছর ৯ মাস পর একই মাঠে আবার ভাষণ দেবেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গত ১৯ নভেম্বর মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে প্রস্তুতি সভা করেছিলেন। চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার স্থলকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভূতপূর্ব উন্নয়ন কাজ করেছেন। তাই ৪ ডিসেম্বর জনসভায় আওয়ামী লীগ ছাড়াও সাধারণ জনগণও উপস্থিত হবে। এ কারণে এবারের জনসভা একটি ঐতিহাসিক জনসভায় রূপ নেবে। পলোগ্রাউন্ড মাঠ ছাপিয়ে বাইরেও জনসমুদ্রে পরিণত হবে। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমাদের নেত্রী আসবেন। এটা আমাদের জন্য পরম আনন্দের। দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ হচ্ছে পলোগ্রাউন্ডে। এখানে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ উপলক্ষ্যে নগরীর বিভিন্ন সড়কে গাড়ি চলাচলে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে।

এছাড়াও ওইদিন সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত পর্যন্ত আন্ত:জেলা যাত্রীবাহী এসি ও নন-এসি বাস মহানগরে প্রবেশ করতে পারবে না। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) পংকজ দত্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য নির্দেশনা সকল প্রকার যানবাহনের চালক, যাত্রী সাধারণ ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারী সকলকে যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় যেসব গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে তা হলো:

নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে রেডিসন গোলচত্বর, ইস্পাহানী মোড়, টাইগারপাস হয়ে পলোগ্রাউন্ড সমাবেশস্থল এবং পলোগ্রাউন্ড মাঠ থেকে টাইগারপাস, ইস্পাহানি মোড়, রেডিসন গোলচত্বর হয়ে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কে রোববার সকাল আটটা থেকে সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

সমাবেশে আগত ছোট-বড় গাড়ির পার্কিং স্থান নির্ধারণসহ সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার লক্ষে সিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।

এরমধ্যে রয়েছে নগরের হাই লেভেল রোড, ওয়াসার মোড়, জমিয়াতুল ফালাহ্ পশ্চিম গেট ইউর্টান, লালখান বাজার ফ্লাইওভারের নামার মুখ, আলমাস মোড়, চানমারি রোড, ম্যাজিস্ট্রেট কলোনি রোডের মুখ, সিটি করপোরেশনের অফিস গলির উভয় মুখ, দেওয়ানহাট ব্রিজের মুখ, টাইগারপাস মোড়, আমবাগান রেলক্রসিং, কাজীর দেউড়ী, নেভাল এভিনিউ, ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিটিউট, রেলওয়ে অফিসার্স কলোনী মসজিদ, কুক আউট রেস্টুরেন্ট , উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কাঠের বাংলো, ফ্রান্সিস রোড, আটমার্সিং, এনায়েত বাজার, পুরাতন রেল স্টেশন, কদমতলী মোড়, নিউ মার্কেট মোড়, সিটি কলেজ মোড়, ব্রিজ ঘাট (অভয়মিত্র ঘাট), নতুন ব্রিজ (মেরিন ড্রাইভ রোডের মুখ), আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠার মুখ (বেবি সুপার মার্কেট), ষোলশহর ২নং গেইট পুলিশ বক্সের সামনে, ফ্লাইওভারে উঠার মুখ (এন মোহাম্মদ মুরাদপুর), পেনিনসুলা হোটেলের সামনে, শহীদ শাহজাহান মাঠের সামনে (আমবাগান রোড), পাঞ্জাবি লেইনের মুখ (জাকির হোসেন রোড), আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়। এ সকল রুটের মুখে রোড ব্লক স্থাপন ও ডাইভারশন প্রদানের মাধ্যমে ভিভিআইপি চলাচলের সময় সকল ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

সমাবেশে গাড়ি নিয়ে আসা অংশগ্রহণকারীদের জন্য ড্রপিং পয়েন্ট হলো- নতুন ব্রিজ গোল চত্বরের পশ্চিম পার্শ্বে, কদমতলী মোড়, ষোলশহর রেল স্টেশনের সামনে রাস্তা, শহীদ শাহজাহান মাঠ ও আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়। বীর মুক্তিযোদ্ধাগনের ড্রপিং পয়েন্ট শহীদ শাহজাহান মাঠ ও নিউ মার্কেট।

এছাড়া মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, জিওসি-২৪ পদাতিক ডিভিশন, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি মহোদয়গণের ড্রপিং পয়েন্ট পলোগ্রাউন্ড বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে টাইগারপাস থেকে সকল গাড়ি উল্টো পথে এসে ড্রপ করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের গাড়ি ইউর্টান করে কাঠের বাংলো দিয়ে সিআরবিতে চলে যাবে।

মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, জিওসি- ২৪ পদাতিক ডিভিশন, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি গণের গাড়ি সোজা সামনে গিয়ে রেলওয়ে পাবলিক স্কুল মাঠে প্রবেশ করবে ।

পার্কিং:

মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, জিওসি- ২৪ পদাতিক ডিভিশন, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজি পার্কিং: রেলওয়ে পাবলিক স্কুল মাঠ।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পার্কিং হবে সিআরবি সাত রাস্তা (এক সারিতে)। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের গাড়ি পার্কিং: শহীদ শাহজাহান মাঠ ও শুভপুর বাস টার্মিনাল। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের কার পার্কিং পুরাতন রেল স্টেশন ও সিআরবি সাত রাস্তা।

মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দের কার পার্কিং করবেন জমিয়াতুল ফালাহ্ মসজিদ মাঠ, পুরাতন রেল স্টেশন ও প্যারেড গ্রাউন্ড। নেতৃবৃন্দের মাইক্রোবাস পার্কিং স্থান প্যারেড গ্রাউন্ড (চকবাজার)।

সমাবেশে আসা বাসগুলো পার্কিং করবে নতুন ব্রিজ থেকে কালামিয়া বাজার এক্সেস রোড, শুভপুর টার্মিনাল, ফরেস্ট গেইট (বন গবেষণা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ), বহদ্দারহাট টার্মিনাল, শহীদ শাহজাহান মাঠ (আমবাগান রোড), আগ্রাবাদ এক্সেস রোড ও অলংকার আলিফ গলি। বিভিন্ন মিডিয়ার কার পার্কিং করবে জমিয়াতুল ফালাহ্ মসজিদ মাঠ।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত