ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ব্যাংকে টাকা আছে, গুজবে কান দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩:২৯  
আপডেট :
 ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৩৭

ব্যাংকে টাকা আছে, গুজবে কান দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যাংকে টাকা আছে, গুজবে কান দেবেন না। দেশের ব্যাংকে টাকার কোনো সমস্যা নেই। প্রতিটি ব্যাংকে টাকা আছে। ব্যাংকে টাকা নেই— এ ধরনের গুজবে কান দেবেন না।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ব্যাংকে টাকা নাই, টাকা নাই বলে মানুষ টাকা তুলে ঘরে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমি আগেও বলেছি। এখনও বলি, এদের চোরের সঙ্গে কোনো সমঝোতা আছে কি না যে, ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ঘরে রাখলে চোরের পোয়াবারো। চোর চুরি করে খেতে পাবে।’

তিনি বলেন, মিথ্যে কথা বলে মানুষকে তারা বিভ্রান্ত করতে চায়। একটা শ্রেণি আছে তারা এটা করবেই আমি জানি। কারণ মিথ্যে কথায় তারা পারদর্শী। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি আর সেটাকেই আমাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগায় তারা। কাজেই এদিকে সকলের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশে ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। আজ সকালেও একটার উদ্বোধন করলাম। জাপান, চীন, ভারত, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুর বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। যারাই বিনিয়োগ করতে চায়, তাদের জায়গা ও নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, তার সরকার ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর করে দিয়েছে। জাতির পিতার এই বাংলাদেশে কেউ ভূমিহীন-গৃহহীণ থাকবেনা। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় ভূমিহীন-গৃহহীণ মানুষ খুঁজে বের করার আহবান জানান তিনি। তাদের বৃত্তান্ত দিলে সরকার তাদের পুণর্বাসন করবে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

এসময় খাদ্য ও বিদুৎ-জ্বালানি ব্যবহারে আরও সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ছাত্রদের লেখাপড়া করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রত্যেকেই মেধাবী। পড়াশোনা করে বিসিএস পরীক্ষাসহ সব পরীক্ষায় অংশ নেবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে অংশ নিয়ে মেধার সাক্ষর রাখতে হবে। শুধু রাজনীতি নয়, পাশাপাশি সব কিছুতে নিজেদের অবস্থান রাখতে হবে।

ছাত্রলীগের কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ সব সময় মানুষের পাশে থাকে, তাদের ধন্যবাদ জানাই। করোনায় যখন বাবা-মায়ের মৃত্যুতে ভাইবোন পর্যন্ত মরদেহ ফেলে চলে যেত বা আক্রান্ত হলে ছেড়ে চলে যেত-তখন তাদের পাশে ছিল ছাত্রলীগ। তাদের চিকিৎসা দেয়া, খাদ্যের ব্যবস্থা করার কাজটি করেছে ছাত্রলীগের নেতারা। সিলেটের বন্যার দুঃসময়ে মানুষের পাশেও ছিল এ ছাত্রলীগ। ওই দুর্গম এলাকায়ও তারা ছুটে গেছে, মানুষের পাশে থেকেছে। কৃষকের ধান কাটায়ও অগ্রবর্তী ছিল ছাত্রলীগ।

তিনি বলেন, আমাদের মর্যাদার আসনে নিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ হারিয়েছিল উন্নয়নের সম্ভাবনা। মানুষ শোষিত-বঞ্চিত হয়েছিল। যারা ক্ষমতা দখল করেছিল। জনগণের কোনো অধিকার বিএনপি-জায়াতের সময় ছিল না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিটি আন্দোলনে শহিদদের তালিকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীই বেশি। প্রতিটি সংগ্রামেই ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের ইতিহাস ছাত্রলীগের ইতিহাস।

বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতাই চায়নি তারা এ দেশের উন্নয়ন কখনোই দেখবে না। মানুষ সামনের দিকে আগায়, বিএনপি ক্ষমতায় এলে পেছনে যায়, ভূতের মতো। তারা মনে হয় ভূতের রূপ নিয়েই আসে আমাদের দেশে।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সাড়ে ৪ বছর পর এই সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের ভিড়ে মুখর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা।

আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নতুন অঙ্গীকার: ওবায়দুল কাদের

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত