ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

দুই যুগ পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:১৮

দুই যুগ পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার সোহরাব হোসেন। ছবি: নিজস্ব

যশোরের কোতয়ালির নরেন্দ্রপুর এলাকায় মাছের ব্যবসার দ্বন্দ্বে শুক্কুর আলীকে হত্যার ঘটনায় দুই যুগ ধরে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহরাব হোসেনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২। সোহরাব হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামি।

সোমবার দুপুরে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ১৯৯৮ সালের জুনে যশোরের কোতয়ালির নরেন্দ্রপুর এলাকায় মাছের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী শুক্কুর আলীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার সোহরাব হোসেনসহ অংশ নেন আশরাফ, রেজাউল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, খোকন ঢালী।

এই ঘটনায় নিহতের পবিবার ১৯৯৮ সালের ৪ জুন কোতয়ালিতে হত্যায় জড়িত পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পাঁচ জনকে আসামি করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য প্রমাণসহ দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০০২ সালে মামলার এক নম্বর আসামী সোহরাব হোসেন (৪৫), দুই নম্বর আসামি আশরাফ এবং পাঁচ নম্বর আসামী খোকন ঢালীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে অপর দুজনকে মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করেন। আসামিদের মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক নম্বর আসামি সোহরাব হোসেন (৪৫) মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক ছিলেন।

র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক বলেন, মামলার আসামি পলাতক থাকার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সোহরাব হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাবের একটি দল।

গ্রেপ্তার সোহরাবের বরাত দিয়ে আনোয়র হোসেন খান জানান, শুক্কুর আলীকে হত্যার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন করে ঢাকায় চলে আসেন। প্রথমে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ৪ বছর, মিরপুরে ৭ বছর, তেজগাঁও এলাকায় ৩ বছর এবং সাভারের আশুলিয়া থানার জিরানী এলাকায় দীর্ঘ ১০ বছর পলাতক ছিলো। সোহরাবের আত্মগোপনের এই দীর্ঘ ২৪ বছরে তিনি বিভিন্ন পেশায় জড়িত ছিলেন। পুরো সময়ে তিনি নিজের নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন।

পলাতক থাকা অবস্থায় সোহরাব দুটি বিয়ে করেছেন। তার মধ্যে প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেলে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই ঘরেও তার একাধিক সন্তান রয়েছে। গ্রেপ্তার সোহরাবের বর্তমান পেশা ছিলো গাড়ি চালানো। লেগুনা, বাসসহ দেশের বিভিন্ন রুটের গণপরিবহন চালাচ্ছিলেন। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত