ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

মগবাজারে বিস্ফোরণস্থল থেকে অসংখ্য স্প্লিন্টার উদ্ধার

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:০০  
আপডেট :
 ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:০৬

মগবাজারে বিস্ফোরণস্থল থেকে অসংখ্য স্প্লিন্টার উদ্ধার
বিস্ফোরণস্থলে পুলিশ। সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর মগবাজারের ওয়্যারলেস মোড়ে একটি ওষুধের দোকানের সামনে বিস্ফোরণস্থল থেকে অসংখ্য স্প্লিন্টার উদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর রশীদ।

মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

হারুন-অর রশীদ বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্যটি ময়লা রাখার একটি প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে ছিল। ভেতর থেকে ময়লা বের করার সময় বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলে স্প্লিন্টার পাওয়া গেছে। কী উদ্দেশ্যে ওই বিস্ফোরক এখানে রাখা হয়েছিল, তা জানতে কাজ চলছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া স্প্লিন্টারগুলো আলামত হিসেবে নিয়ে গেছে।

প্লাস্টিকের ড্রামটিতে বোমা ছিলা কি না- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ময়লার ড্রামটিতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়েছিল এবং ঘটনাস্থলে অসংখ্য স্প্লিন্টার পাওয়া গেছে। এই বিস্ফোরণে চারজন মানুষ আহত হয়েছেন। একটা স্কুলের সামনে এটা কেন রাখা হয়েছিল সেটা বের করার চেষ্টা চলছে।

মঙ্গলবার সকালে ওয়্যারলেস মোড়ে সেন্ট মেরিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে একটি প্লাস্টিকের ড্রামে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় ৩-৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিস্ফোরণের পর ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ড্রাম থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য ফেলে দেয়ার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজন পথচারী। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল টিম আসে এবং আলামত সংগ্রহ করে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, আগে থেকেই ড্রামের ভেতরে যে কেউ বিস্ফোরকটি রেখে দিয়েছিল। অসাবধানতাবশত ফেলে দেয়ার কারণে বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরকটি কে রেখেছিল বা কীভাবে এখানে এসেছে তা উদঘাটনে আমরা কাজ করছি।

এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে কিনা জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা এমন কোনো বিষয়ে সন্দেহ করছি না। তবে প্রাথমিকভাবে সব বিষয় সামনে রেখে আমরা কাজ করছি।

আরো পড়ুন: রাজধানীতে বিস্ফোরণ, আহত ৪

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত