ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রবৃদ্ধির হার কমে দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে: জাতিসংঘ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৩৮  
আপডেট :
 ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৯

প্রবৃদ্ধির হার কমে দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়বে: জাতিসংঘ
ফাইল ছবি

জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, চলতি ও আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশ দ্বৈত চাপের মুখে পড়তে পারে। তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, এ সময়ে প্রবৃদ্ধির হার কমবে, বাড়বে মূল্যস্ফীতির চাপ।

জাতিসংঘ বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াতে পারে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ সেই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি থাকবে। তবে পরের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২৩-২৪-এ মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে দাঁড়াতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সম্ভাবনা-২০২৩ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভাগ এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

তাদের পূর্বাভাস বলছে, চলতি বছরে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৬ শতাংশে, আগামীতে তা আরও কমে হতে পারে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধিতে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ফলে বাংলাদেশসহ রপ্তানিনির্ভর দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ আরও বাড়ছে। গত বুধবার বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে জাতিসংঘ প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক শ্লথ প্রবৃদ্ধি ও সুদের হার বৃদ্ধি এ অঞ্চলের বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

সংস্থা জানায়, অ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ, ভুটান, লাও পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক, নেপাল, সাও টোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপে এবং সলোমন আইল্যান্ড— এই সাতটি দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। কিন্তু ভুটান, সলোমন আইল্যান্ড এবং লাও পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকের রাজস্ব ঘাটতি করোনার পর থেকে বেড়েই চলেছে। যদিও নেপাল ও বাংলাদেশের রাজস্ব ভারসাম্য অপরিবর্তিতই রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে তীব্র খাদ্যসংকটে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ২০২২ সালে। বিশেষ করে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়। পরিস্থিতি উত্তরণে বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে, সারে ভর্তুকি বাড়িয়েছে এবং কৃষি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে।

বছরের শুরুতে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতি ‘বিপজ্জনকভাবে মন্দার কাছাকাছি’। আর সেই মন্দার আঁচ লাগবে বাংলাদেশেও।

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের জন্য উচ্চমূল্যে জ্বালানি আমদানি কঠিন হয়ে পড়ে। এতে গৃহস্থালি ও ব্যবসা-বাণিজ্যে জ্বালানি সরবরাহ করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এমনকি জ্বালানির খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং সরবরাহ জটিলতায় শিল্প উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে গত সেপ্টেম্বরে। যেখানে গত মার্চে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছিল। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত