ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন
ভোটারের অপেক্ষায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার ১৩২টি ভোটকেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ।
|আরো খবর
সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি একেবারে কম। বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, দুই একজন করে ভোট দিতে আসছেন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা ভোটারের জন্য অপেক্ষা করছেন। ভোটের দুই ঘণ্টা অতিক্রম করলেও ভোটার চোখে পড়েনি।
কালীকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ডা. শ্যামল কুমার চৌধুরী জানান, সকাল হওয়ায় ভোটার কম আসছে। তবে বেলা বাড়লে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে।
নির্বাচনে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার (কলারছড়ি), জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল), জাকের পার্টির জহিরুল হক জুয়েল (গোলাপ ফুল) ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি)।
তবে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এ আসনটিকে উন্মুক্ত ঘোষণা করায় তাদের দলীয় কোনো প্রার্থী নেই। এদিকে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করছে তার পরিবার।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং জিল্লুর রহমান বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি কমই দেখা যাচ্ছে।
সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ভোটার ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের এক জন ভোটার রয়েছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, নির্বাচনে ১ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া চার প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও চারটি স্ট্রাইকিং টিম মাঠে আছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন তিনজন পুলিশ, অস্ত্রধারী দুজন আনসার, লাঠিধারী ১০ জন আনসার ও দুজন গ্রাম পুলিশ। উপনির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ