ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

রোজার পণ্য আনতে পর্যাপ্ত এল‌সি খোলা হয়েছে

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৪৮

রোজার পণ্য আনতে পর্যাপ্ত এল‌সি খোলা হয়েছে
ছবি - সংগৃহীত

রমজানের পণ্য আমদানির জন্য পর্যাপ্ত এলসি খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্প‌তিবার বাংলা‌দেশ ব্যাংকের কনফা‌রেন্স হ‌লে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা ব‌লেন প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, রমজান মাসে তেল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুরের চা‌হিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে এসব পণ্য আমদানিতে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ত‌বে কো‌নো ব্যাংকে একক কো‌নো গ্রাহ‌কের স‌ঙ্গে যদি এল‌সি খোলা নি‌য়ে সমস্যা হয়, ওটা তা‌দের নিজস্ব বিষয়। সা‌র্বিকভা‌বে কো‌নো সমস্যা হ‌চ্ছে না।

তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এলসি না খুলতে পারার খবর এসেছে। আমরা মনে করছি- নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা হলে এসব পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গত বছরের জানুয়ারিতে পাঁচ লাখ ১১ হাজার ৪৯২ টন চিনি আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছিল, আর গত জানুয়ারিতে খোলা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৯৪১ টন চিনি আমদানির। গত বছরের জানুয়ারিতে ভোজ্যতেলের ঋণপত্র খোলা হয়েছিল তিন লাখ ৫২ হাজার ৯৫৯ টন, যা গত জানুয়ারিতে বেড়ে হয়েছে তিন লাখ ৯০ হাজার ৮৫৩ টন। তবে গত বছরের জানুয়ারিতে দুই লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ টন ছোলা আমদানির জন্য খোলা হলেও চলতি

বছরের একই সময়ে ঋণপত্র খোলা কমে হয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার ৫৬৬ টন। গত বছরের একই মাসে ৩৬ হাজার ২২৫ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছিল, এবার যা বেড়ে হয়েছে ৪২ হাজার ৫৬২ টন। খেজুর আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা এ বছর বেড়েছে।

গত বছরের ১৬ হাজার ২৯৮ টন থেকে বেড়ে বর্তমান বছরে ২৯ হাজার ৪৮১ টন। সব মিলিয়ে এই পাঁচ পণ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ১১ লাখ ৮২ হাজার ৭৭৩ টনের জন্য। তবে এ বছরের জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৫ টন।

সংবাদ সম্মেলনে মেজবাউল হক আরও বলেন, রমজানের পণ্য আমদানিতে নীতি সহায়তা দেয়া হয়েছে। চাহিদামতো ঋণপত্র খোলা হচ্ছে। আশা করছি পণ্য সরবরাহও স্বাভাবিক থাকবে।

সাত মাসে রিজার্ভ থেকে ৯২০ কোটি ডলার বিক্রি: সংবাদ সম্মেলনে মেজবাউল হক জানান, ডলারের সংকট কাটাতে উচ্চাভিলাষী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিতের পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরও সংকট কাটছে না। এ কারণে জরুরি আমদানি দায় মেটাতেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৯২০ কোটি বা ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময় রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন বা ৭৬২ কোটি ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

সংবাদ সম্মেলনে উপ‌স্থিত ছি‌লেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও প‌রিচালক সায়িদা খানম।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত