ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

চসিকের প্রকল্প পরিচালককে মারধর, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৫৯

চসিকের প্রকল্প পরিচালককে মারধর, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারকৃত আসামি। ছবি: প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালককে ঠিকাদারদের মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সোমবার রাত আড়াইটার দিকে নগরের খুলশী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর গোয়েন্দা (উত্তর-দক্ষিণ) পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান।

গ্রেপ্তার সাহাব উদ্দিন এস জে ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক।

উপ-পুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, চসিকের উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক গোলাম ইয়াজদানীর ওপর হামলার ঘটনায় ঠিকাদার মো. সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাহাবুদ্দিন জানান তিনি ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়াতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

প্রসঙ্গত, কাজ না পেয়ে প্রকল্প পরিচালক গোলাম ইয়াজদানীকে ২৮ জানুয়ারি বিকেলে নগরের টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে তার কক্ষে ঢুকে মারধর করেন একদল ঠিকাদার।

মারধরের ঘটনায় সেদিন রাতে নগরের খুলশী থানায় মামলা হয়। সিটি করপোরেশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় আসামি হিসেবে ১০ জন ঠিকাদারের নাম উল্লেখ করা হয়। ৫ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, এসজে ট্রেডার্সের সাহাবুদ্দিন, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সঞ্জয় ভৌমিক ওরফে কঙ্কন, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মো. ফেরদৌস, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সুভাষ, মেসার্স খান করপোরেশনের হাবিব উল্ল্যাহ খান, মেসার্স নাজিম অ্যান্ড ব্রাদার্সের মো. নাজিম, মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজের মো. ফিরোজ, মো. ফরহাদ, ইফতেখার অ্যান্ড ব্রাদার্সের মো. ইউসুফ ও জ্যোতি এন্টারপ্রাইজের আশীষ।

তাদের মধ্যে কঙ্কন, ফেরদৌস, সুভাষ ও জনৈক মাহমুদুল্লাহকে ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা এখন কারাগারে।

সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পটি হলো ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’। প্রকল্পের তৃতীয় পরিচালক গোলাম ইয়াজদানী। তিনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে ছিলেন। তাকে গত বছরের ১৪ আগস্ট প্রেষণে প্রকল্পটি পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

গোলাম ইয়াজদানী আসার পর ২২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৭টি ভাগের (লট) উন্নয়নকাজে ঠিকাদার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেন। বর্তমানে এই ঠিকাদার নিয়োগপ্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই কাজ না পাওয়া ঠিকাদারেরা দল বেঁধে গোলাম ইয়াজদানীর কক্ষে প্রবেশ করে তাকে মারধর করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত