সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কুয়াকাটায় লাখো পর্যটকের সমাগম
প্রতিনিধি, পটুয়াখালী
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩:১৬

পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটকের সমাগম বেড়েছে। সড়ক পথে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকায় যেতে কোন ফেরি না থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলো কাটাতে আসছেন কুয়াকাটায়।
|আরো খবর
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রয়ারি) বিকাল থেকেই এসকল পর্যটকদের আগমন ঘটে কুয়াকাটায়। শুক্রবারও কুয়াকাটা আসে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক।
আগত পর্যটকরা সৈকতে প্রিয়জনের সাথে হেঁটে বেড়াচ্ছেন, কেউ সমুদ্রের নোনা জলে ডুব সাঁতার কাটছেন। অনেকে আবার বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়া ঢেউ।
শীতের প্রকট কমে যাওয়ার পর থেকে কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের আগমনে বিক্রি বেড়েছে বিপনীবিতান থেকে শুরু করে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার সকল হোটেল মোটেল গুলো।
এদিকে পর্যটকের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠেছে পর্যটন স্পট লেম্বুর বন, শুঁটকি পল্লী, ইকো পার্ক, গঙ্গামতি ঝাউবাগান সহ সকল পর্যট স্পট। আগতদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে টু্রিষ্ট পুলিশ সহ জেলা পুলিশ প্রশাসন।
সৈকতের ঝিনুক বয়বসায়ী ছগির জানান, এই দুই সপ্তাহে আগের চেয়ে অনেক পর্যটক বেড়েছে কুয়াকাটায়। এতে দোকানের বিক্রিও বেড়েছে। সৈকতের বেঞ্চি ব্যবসায়ী ইব্রাহিম জানান, আমরা আজকে পর্যটকদের বেঞ্চে বসার যায়গা দিতে পারছিনা।
হোটেল-মোটেল অউনারস্ এসোসিয়েশনর সাধারন সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, এখন নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকায় ব্যপক পর্যটকের আগমন ঘটছে কুয়াকাটায়। আমাদের হোটেল গুলোর বেশীরভাগ রুমই বুকিং রয়েছে।
পর্যটন পুলিশের ওসি হাসনাইন পারভেজ বলেন, আমরা সবসময়ই পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রস্তুত। আজকে আগের চেয়ে বেশী পর্যটক এসেছে।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, গত একমাস যাবৎ মহাসড়কে বাস, গাড়ি নিয়ে পর্যটকদের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। তাই আমরা নতুন করে মাঠ পরিস্কার করে গাড়ি রাখার ব্যবস্তা করেছি। কুয়াকাটা বাসষ্ট্যান্ডের কাজ তড়িৎ গতিতে চালাচ্ছি।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই