ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফেব্রিক্স–রাসায়নিকসহ ৮৬ লট পণ্য নিলামে উঠছে ১৫ মার্চ

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩, ১৯:০৯  
আপডেট :
 ০২ মার্চ ২০২৩, ১৯:৩৭

ফেব্রিক্স–রাসায়নিকসহ ৮৬ লট পণ্য নিলামে উঠছে ১৫ মার্চ
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। ছবি: প্রতিনিধি

ফেব্রিক্স–রাসায়নিক পদার্থসহ ৮৬ লটের বিভিন্ন ধরনের পণ্যের নিলাম উঠছে চট্টগ্রাম কাস্টমসে। এসব পণ্যের নিলাম আগামী ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার থেকে দরপত্র ও ক্যাটালগ বিক্রি শুরু হয়েছে। নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী)।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ–কমিশনার মোহাম্মদ নাহিদুন্নবী বলেন, নিলাম আমাদের রুটিন কার্যক্রমের একটি অংশ। দীর্ঘদিন ধ্বংস কার্যক্রম চলমান থাকায় নিয়মিত নিলাম বন্ধ ছিল। এখন আবার নিলাম কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ ফেব্রিক্স–রাসায়নিক পদার্থসহ ৮৬ লটের বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

নিলাম শাখা সূত্রে জানা যায়, বিডাররা অফিস চলাকালীন সময়ে এবং নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কেএম কর্পোরেশনের মাঝিরঘাটের অফিস, কাস্টমসের নিলাম শাখা অফিস এবং ঢাকার মতিঝিল অফিস থেকে থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। সংগৃহীত দরপত্র আগামী ৯ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে জমা দেয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তার (প্রশাসন) কার্যালয়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেট (ঢাকা দক্ষিণ) এর কার্যালয় এবং ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত আইডিইবি ভবনে স্থাপিত দরপত্রের বাক্সে। এরপর আগামী ১৫ মার্চ বিকেল ৩টায় বিডারদের উপস্থিতিতে দরপত্রের বাক্স খোলা হবে। নিলাম সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বোচ্চ দরদাতাদের অনুকূলে পণ্য বিক্রির অনুমোদন দিবেন নিলাম কমিটির সদস্যরা।

নিলামে অংশগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দরপত্রের সাথে হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ, টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। এছাড়া ক্যাটালগে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করে নিলামে অংশ নেয়া যাবে।

এবার যেসকল পণ্যের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে তা হলো- আনপ্রিন্টেড পিভিসি শিট, গ্র্যাফট অ্যাডহেসিভ, পিভিসি কোডিং টাওয়ার, স্টিম প্রেস মেশিন, চেয়ার, প্লাস্টিক হ্যাংগার, প্লাস্টিক বাকল, অপরিশোধিত ডিজেল, ডায়রি, এসিটিক এসিড, উডেন পেলেটস, ফেব্রিক্স, রাইচ মিল মেশিনারি, ইউজড উইন্ডার মেশিন, পেট ড্রাইয়ার, প্লাস্টিক জিপার, মেটাল ফ্রেম, ব্যাটারি লিড, ওয়াশিং কেমিক্যাল, তেঁতুল বিচি, এলইডি টিভি, ক্যাট কেইজ, ক্র্যাফট পেপার, কাভারড রাবার থ্রেড, ইজিজি ইনকিউবিটর, লেডিস নিট শার্ট, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, সিনথেটিক বেল্ড, গার্মেন্টস মেশিনারিজ, ফুটওয়্যার স্যান্ডেল, ক্রুড গ্লিসারিন, পিভিসি রিবন, গার্মেন্টস এঙেসরিজ, পেপার হ্যাং ট্যাগ, স্কুলের আসবাবপত্র, পেপার বোর্ড, ইনজেকশন সিরিঞ্জ, সোডিয়াম সালফেট, পাঞ্চিং মেশিন, ওয়াল পেপার, অটো গ্যাস স্টোভ, মেটাল বাটন, ক্যাপিটাল মেশিনারি, ছাপাখানার কালি, এলইডি ল্যাম্প, লেইস, ইলাস্টিক এবং সোডিয়াম ক্লোরাইড।

প্রসঙ্গত, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত