ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণ উৎসব শুরু
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩, ০০:৫১

দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহের লালন স্মরণোৎসবের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগরে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহাবুব উল আলম হানিফ।
|আরো খবর
লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ আ.ক.ম সরওয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান। আলোচনা শেষে মূল মঞ্চে একাডেমির শিল্পীরা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করেন।
দোল উৎসব ঘিরে বাউল সাধু ও লালন অনুসারীদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা দেখা গেছে। ইতিমধ্যেই তাঁরা লালনের মাজার সংলগ্ন এলাকায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে লালনের বাণী পরিবেশন করছেন। সেই সঙ্গে চলছে গুরু-শিষ্যের মধ্যে ভাব বিনিময়।
আগামী সোমবার রাতে শেষ হবে লালন উৎসব। এদিকে লালন স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে কালি নদীর তীরে বিশাল এলাকা জুড়ে বসেছে গ্রামীণ মেলা। দূরদূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা এসে তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মেলায়।
বাউলসম্রাট লালন শাহ তাঁর জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে প্রতি বছর চৈত্র্যের দোলপূর্ণিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধুসঙ্গ উৎসব করতেন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পয়লা কার্তিক তাঁর মৃত্যুর পরও এই উৎসব চালিয়ে আসছে তাঁর অনুসারীরা। এবারও সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি এই স্মরণোৎসবের আয়োজন করেছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, এবার শব-ই-বরাতের কারণে দুদিন এগিয়ে আনা হয়েছে অনুষ্ঠানমালা। ঐতিহাসিক এই লালন উৎসব নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে। আখড়াবাড়ী চত্বরে কালী নদীর তীরে মাঠে বসেছে লালন মেলা।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, লালন উৎসবকে ঘিরে প্রতিদিন লাখো দেশি বিদেশি লালন অনুসারীদের সমাগম ঘটে ছেঁউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে। তাই এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুরো ছেঁউড়িয়া এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আছে ওয়াচ টাওয়ার এবং মেটাল ডিটেকটর গেট। বিদেশি অতিথিদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগামী ৬ মার্চ রাতে লালন উৎসব শেষ হবে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ