ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

তিস্তা পাড়ে খাল খনন: ভারতকে চিঠি পাঠাবে বাংলাদেশ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩, ২১:৩৪

তিস্তা পাড়ে খাল খনন: ভারতকে চিঠি পাঠাবে বাংলাদেশ
তিস্তা পাড়ে খাল খনন । ফাইল ছবি

তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর নিয়ে দেশটির সরকারের কাছে লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

বৃহস্পতিবার পানি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বহুপক্ষীয় অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে ভারত সরকারকে চিঠি পাঠানো হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে আমরা করণীয় ঠিক করবো।

জাহিদ ফারুক বলেন, তিস্তার দুটি খাল খননের নিয়ে কলকাতায় একটা সংবাদমাধ্যমে খবর আসার পরে, সেটার উপরে বাংলাদেশের মিডিয়া একটা নিউজ করেছে। সেটার পরে জেআরসিকে (যৌথ নদী কমিশন) আমি বলেছি, জেআরসি মেম্বারকে চিঠি দেওয়ার জন্য তার কাউন্টার পার্টকে, যে তারা অফিসিয়ালি আমাদেরকে বলুক। আমরা মিডিয়ায় পেয়েছি, সেখানে এটা কতটা নির্ভরশীল সেটাতো আমরা জানি না।

তিনি আরও বলেন, আমরা এটার উপর কমেন্ট করব না। আমরা যেটা করতে চাচ্ছি যে, আমরা একটা চিঠি তাদেরকে দিচ্ছি। সেই চিঠিটার উত্তর এলে পরে আমরা বুঝতে পারব, সত্যি তারা ডাইভার্ট করতেছে কি, করতেছে না।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, চিঠি অলরেডি ড্রাফট রেডি হয়ে আছে। আমি সময়ের জন্য সাইন করতে পারি নাই। আজকে সাইন করব। চিঠিটাতো দেখে সাইন করতে হবে।

চিঠিতে বাংলাদেশের উদ্বেগ জানানো হচ্ছে কি-না প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জানতে চাওয়ার জন্য আমরা চিঠি দিচ্ছি। আমাদের জেআরসি থেকে আমরা চিঠি দেব।

এদিকে দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, পশ্চিমবঙ্গে খাল খননের মধ্য দিয়ে তিস্তার পানি সরিয়ে নিচ্ছে ভারত, প্রকাশিত এমন খবরের সত্যতা যাচাই করা হবে। বিষয়টি ভারতের সংশ্লিষ্ট পক্ষের থেকে যাচাইয়ের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা।

সেহেলী সাবরীন বলেন, তিস্তা নদীর পানির ওপর বাংলাদেশের বৃহৎ জনগণের জীবন ও জীবিকা নির্ভর করে। সে কারণে অনেক বছর ধরে আমরা তিস্তা নিয়ে ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যমান যে চমৎকার সম্পর্ক, সেটি বিবেচনায় রেখে আমরা আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে চেষ্টা অব্যাহত রাখব। আমরা আশা রাখছি, আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যাটির সমাধানে যাব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, এটা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং যৌথ নদী কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করে একটি প্রস্তাব বা পেপার ঠিক করে তারপর ভারতীয় পক্ষের কাছে জানতে চাইব। এরপর পরবর্তী পদক্ষেব নেব।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (১১ মার্চ) ভারতের ইংরেজি দৈনিক টেলিগ্রাফের এক খবরে বলা হয়, তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননের জন্য প্রায় এক হাজার একর জমির মালিকানা পেয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সেচ বিভাগ। গত শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন জমির মালিকানা হস্তান্তর করেছে। এ জমির মাধ্যমে তিস্তার পূর্ব তীরে দুটি খাল তৈরি করতে পারবে প্রশাসন।

তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি যেখানে ঝুলে আছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এমন উদ্যোগের ফল কী হতে পারে সেই প্রশ্নও রাখা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত