ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

অক্সিজেন কারখানার ধর্মঘট প্রত্যাহার

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৩, ২১:৫৮

অক্সিজেন কারখানার ধর্মঘট প্রত্যাহার
সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট দুর্ঘটনার পর মালিককে আটক করা হয়। পরে তাকে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে নিয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সব অক্সিজেন কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা থেকে সরে এসেছে জাহাজভাঙা শিল্পমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ)।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অক্সিজেন প্ল্যান্ট মালিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন তারা।

এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের অক্সিজেন প্ল্যান্ট বন্ধ রাখার ষোষণা দেন তারা। পরে আমি বিষয়টি জানতে পারি। তাদের সঙ্গে কথা বলে সন্ধ্যায় বৈঠক ডাকি। তারা সাড়া দিয়েছেন। ফলফসূ একটি আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট দুর্ঘটনার পর মালিককে আটক করা হয়। পরে তাকে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে নিয়ে যায়। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আন্দোলন স্থগিত করেছেন।

এর আগে ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টের পরিচালক পারভেজ হোসেনকে নগরের জিইসি মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আদালতে হাজির করানোর সময় পারভেজকে হ্যান্ডকাফ লাগানোর পাশাপাশি কোমরে দড়ি দিয়ে বাঁধার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। পরে ছবিটি নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। এদিন রাতেই বিষয়টি নজরে আসে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সুলাইমানের। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে থাকা এসআই অরুন কান্তি দাশের কাছ থেকে কৈফিয়ত তলব করেন।

একই দিনে শিল্প পুলিশ চট্টগ্রাম ইউনিটের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশও জারি হয়। ওই আদেশে বলা হয়, অরুন কান্তি দাশ স্কটের ইনচার্জ ছিলেন। তিনি নিজের খেয়ালখুশি মতো একজন আসামিকে কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে হাজির করেছেন। এতে করে জনসম্মুখে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এছাড়া এটি কর্তব্য কাজে অবহেলা, অদক্ষতা ও বিভাগীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধের শামিল। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে একতরফা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আদেশে বলা হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সীতাকুণ্ডের সব অক্সিজেন কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিএসবিআরএ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত