ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ইভিএম মেরামতের খরচ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে ইসি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩, ১৬:৪৭

ইভিএম মেরামতের খরচ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে ইসি
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর। ছবি: সংগৃহীত

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মেরামতের জন্য মঙ্গলবার ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তৈরি হয়েছে।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বিদায়ী নূরুল হুদা কমিশনের রেখে যাওয়া দেড় লাখ ইভিএম মেশিনের ১ লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামত করতে হবে। পাশাপাশি বাকি ৪০ হাজার মেশিন প্রায় ব্যবহার অযোগ্য। ১ লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামতে ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা চেয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, গত ১৫ মার্চের কমিশন বৈঠকে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটা চিঠি দেয়ার জন্য বলেছি। এক লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামত করার জন্য ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকার মতো লাগবে। সেটা পাওয়া যাবে কি-না, নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা একটা চিঠি দিতে বলেছি। সেটা রেডি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা অর্থবছর ভিত্তিক-এই অর্থ বছরে অর্ধেক দেয়ার জন্য, পরবর্তী অর্থ বছরে বাকি অর্ধেক দেয়ার জন্য এরকম একটা প্রস্তাব পাঠাচ্ছি। যদি অর্থ বিভাগ টাকা সংস্থান করে তাহলে আমরা ইভিএমের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হবো। যদি টাকা না পাওয়া যায় তাতেও আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে, কী করবো। ব্যালটে কতটা করবো বা ইভিএমে আদৌ করবো কি-না। কাজেই সবটাই নির্ভর করবে অর্থপ্রাপ্তির ওপর।

এ সময় তিনি বলেন, টাকা পাওয়া, না পাওয়াটা (চিঠির জবাব) যদি আমরা আগামী কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাই; আগামী সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে যদি পেয়ে যাই তাহলে কিন্তু হাতে ছয় মাস সময় পাবো। অন্যথায় কিন্তু সময় পাবো না। ছয় মাস সময়ের পরে টাকা দিলে তো আমাদের লাভ হবে না। কারণ এক লাখ ১০ হাজার মেশিন যদি আমরা ব্যবহারযোগ্য করতে পারি তাহলে ৭০, ৮০ যে সংখ্যাটা (আসন) হয়, আমরা যেতে পারবো। না হলে তো পারবো না। বা করবো কি-না তা পরে সিদ্ধান্ত নেবো। আশা করছি, যে হয়তো টাকার ব্যবস্থা করবে সরকার। কীভাবে করবে তা।

তিনি আরও বলেন, এখনো সরকার তো পুরোপুরি না করেনি। আমরা এটুকু ইঙ্গিত পেয়েছিলাম যে, টাকার একটা ব্যবস্থা হবে। আর যদি না দেয়, সেজন্যেই সর্বশেষ একটা চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে

এ সময় সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে এখন পর্যন্ত ১৮০টা আবেদন পাওয়া গেছে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, আরও দু-চারটা বিভিন্ন দপ্তরে থাকতে পারে। আবেদনগুলো আসন ভিত্তিক বিন্যাস করা হবে, কোন আসনে কতটি আপত্তি পাওয়া গেছে সেগুলো নিয়ে কাজ করবে সচিবালয়। আসন ভিত্তিক ভাগ করলে বোঝা যাবে কোন আসনে কতটা আবেদন পড়েছে। এরপর কমিশনে প্লেস করবে। কমিশন তখন শুনানি করবে। কোনটার সীমানা পরিবর্তন করতে হবে, কোনটার লাগবে না তখন নির্ধারণ হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত