মালিবাগে বাসে ট্রেনের ধাক্কা
বাস সরানোর পর শুরু হয় ট্রেনসহ যান চলাচল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৩, ২৩:২৯ আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৩, ০০:১২

রাজধানীর মালিবাগ রেলগেটে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসকে ধাক্কা দিয়েছে একটি ট্রেন। এই ঘটনায় বাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
|আরো খবর
বুধবার রাত ৯টার দিকে রেল ক্রসিংয়ের উপর বাসটিকে ট্রেনটি ধাক্কা দেয়। প্রায় ৩০ফুট দুরে নিয়ে যায় বাসটিকে। ঘটনার পরপরই মালিবাগ রেলগেটসহ আশপাশের এলাকায় প্রচন্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগও।
প্রায় দুই ঘণ্টা পর ট্রেনটি পেছনে সরিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি সরানো হয়। পরে রাত ১১টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। সেইসঙ্গে শুরু হয় অন্যান্য যান চলাচলও।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহায়তায় রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি রেললাইন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। পরে রাত ১১টা ২ মিনিটের দিকে ঢাকার সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ, ডিএমপির থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আসে। পরে সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় সোহাগ পরিবহনের বাসটিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরানো হয়। এর পরে রাত ১১টা ২ মিনিটের দিকে আবারও দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হয়। দুর্ঘটনার পর সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তবে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর আবারও রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। দুর্ঘটনার সময় সোহাগ পরিবহনের বাসটিতে চালক ও হেলপার ছিলেন। এ ঘটনায় চালক ও হেলপার অক্ষত রয়েছেন। তবে বাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মানিক নামের স্থানীয় একজন বলেন, দুর্ঘটনার সময় তিনি রেল ক্রসিং সংলগ্ন দোকানে চা পান করছিলেন। ওই সময় সড়কে যানজট ছিলো। ট্রেন আসার সংকেত পেয়ে গেটকিপার সিগন্যাল বার ফেলেন। কিন্তু এর আগে রেললাইনের উপরে ওই বাসটি উঠে পড়ে। সামনে যাজট থাকায় বাসটি আর যেতে পারেনি। ট্রেনটি এসে বাসটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ৩০ ফুট দুরে নিয়ে যায়। তবে বাসে কোনো যাত্রী ছিল না।
রেলগেটের পাশে থাকা ফখরুল নামের এক দোকানদার বলেন, সোহাগ স্ক্যানিয়া বাসটি মালিবাগের কাউন্টারের সামনে থেকে সড়কের বিপরীত পাশে যাচ্ছিলো। রেল ক্রসিংয়ের উপর উঠার পর যানজটে আটকে যায়। গেট কিপারও গেট ফেলে দেয়। বাসটি সামনেও যেতে পারছিল না আবার পেছনেও যেতে পারছিল না।
বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/জিকে