ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে চীনা জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী নিখোঁজ

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩, ২২:২৩

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে চীনা জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী নিখোঁজ

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন ‘এমভি ক্যাং হুয়ান’ জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী জ্যাং মিংইয়ান (৪১)। এটি চীনা পতাকাবাহী বাল্ক জাহাজ। মঙ্গলবার লাইফবোটের সাহায্যে ওই জাহাজে থাকা সব নাবিক প্রাণে বেঁচে গেলেও নিখোঁজ রয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী।

ঘটনার পরপর কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব ক্রাফটের সাহায্যে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এবার ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে মার্কেন্টাইল মেরিনের দ্বারস্থ হয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে বন্দরের আলফা অ্যাংকারেজে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জাহাজটি। ঘটনার পর বিকাল সাড়ে ৫টায় জাহাজটির এজেন্সি জানায় তাদের সকল নাবিক লাইফবোটের সহযোগিতায় প্রাণে বেঁচে গেছে। তবে রাত পৌণে ১১টার দিকে জানায় তাদের প্রধান প্রকৌশলী নিখোঁজ রয়েছেন। এরপর কোস্টগার্ড ও বন্দরের নিজস্ব ক্রাফটের সাহায্যে উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়।

বন্দর সূত্র জানায়, এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে বন্দর থেকে নৌবাণিজ্য দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কেন্টাইল মেরিনের প্রিন্সিপল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে পণ্য খালাসের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চায়না পতাকাবাহী বাল্ক জাহাজ ‘এমভি ক্যাং হুয়ান’। জাহাজে থাকা লাইফবোটের সহযোগিতায় নিজেদের রক্ষা করে নাবিকরা। তবে জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার কার্যক্রম চলমান আছে। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর সন্ধান মেলেনি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, গতকাল বিকেলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জাহাজটি। ঘটনার পর বিকেল সাড়ে ৫টায় জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট জানায়, ১৫ নাবিক লাইফবোটের মাধ্যমে জীবন রক্ষা করেন। পরে তারা জাহাজে ওঠেন। রাতে প্রধান প্রকৌশলী নিখোঁজের বিষয়টি জানা যায়। এরপর কোস্টগার্ড ও বন্দরের নিজস্ব ক্রাফটের সাহায্যে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়।

গত ১৮ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা এসএকিউআর বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌছে ‘এমভি ক্যাং হুয়ান’ জাহাজটি। নিখোঁজ প্রধান প্রকৌশলী জ্যাং মিংইয়ানকে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর জাহাজে যোগ দেন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান জলসীমা সাত নটিক্যাল মাইল। ২০১১ সালে আলফা, ব্রেভো এবং চার্লি নামে তিনটি অ্যাংকারেজে বিভক্ত করে বন্দরের এই সীমানা বাড়ানো হয়। প্রায় ৪শ’ বছর আগে ৫ নটিক্যাল মাইল জলসীমা নিয়ে বন্দরটির যাত্রা শুরু হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত