ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ফের ঊর্ধ্বমুখী ব্রয়লার মুরগির দাম, আগের দরেই সবজি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৪:৩৬

ফের ঊর্ধ্বমুখী ব্রয়লার মুরগির দাম, আগের দরেই সবজি
ছবি: সংগৃহীত

বাজারে আবার দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির। গেল দুইদিনে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। রমজান শুরুর তুলনায় কিছুটা কমেছে মাছের দাম। দাম নিম্নমুখী লেবু, শসাসহ অন্যান্য সবজির।

বেশ কিছুদিন ধরেই মুরগির বাজার ছিলো উত্তপ্ত। প্রায় তিন শ টাকার ঘরে চলে গিয়েছিলো মধ্যবিত্তের পুষ্টির অন্যতম জোগান মুরগি। তারপরই নড়েচড়ে বসে ভোক্তার অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কড়া তদারকিতে বাজার নেমে আসে দু'শ টাকার ঘরে। তবে গেল দু'দিন ধরে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। আগেই নাগালের বাইরে থাকা গরু বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। তবে সেটার দামও বাড়ার আভাস দিলেন বিক্রেতারা।

নতুন করে দাম বাড়েনি মুদি বাজারের কোনো পণ্যের। আগের দামেই ১১২ টাকা কেজিতে চিনি এবং পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

এর আগে, রমজান মাস শুরু হওয়ার দুই দিন আগে ব্রয়লার মুরগির দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ২৭০ টাকায়। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ৩৮০ টাকা কেজি। গত ২৩ মার্চ এক বৈঠকে এফবিসিসিআই সরকারকে মুরগি আমদানি উন্মুক্ত করে দেয়ার পরামর্শ দিলে খামারিরা দাম কমানো শুরু করে।

এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কমে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় দাঁড়ায়। একই সঙ্গে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে ৩৪০ টাকায় নেমে আসে। বাজারে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি ১০৫০-১১০০ টাকা। বাজারে ডিমের দাম কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে ডজন ছিল ১৪০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৭৫-১৮০ টাকা আর দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০-২২০ টাকা।

সবজির দাম তেমন কমেনি। দু-একটি সবজির দাম কম হলেও বাকি সব সবজির দাম বাড়তি। শসা প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, শিমের কেজি ৬০ টাকা, করলার কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৮০, ঢেঁড়স ৮০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ৮০ ও ধুন্দুল ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা। গাজরের কেজি ৬০ টাকা, মুলার কেজি ৬০ টাকা ও কাঁকরোলের কেজি ২০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।

পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। বড় রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। ছোট রসুনের (দেশি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা দরে। বাজারে আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়।

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। দেশি মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা দরে। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা দরে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত