ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাস টার্মিনালগুলোতে নেই যাত্রীচাপ, ভোগান্তি ছাড়াই যেতে পেরে খুশি যাত্রীরা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:৫৪

বাস টার্মিনালগুলোতে নেই যাত্রীচাপ, ভোগান্তি ছাড়াই যেতে পেরে খুশি যাত্রীরা
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলোতে এবার যাত্রীচাপ নেই। কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে সহজেই বাসে চড়ে ঢাকা ছাড়ছেন রাজধানীবাসী।

মহাখালী বাস টার্মিনালে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া মানুষজনের তেমন ভিড় দেখা যায়নি। স্বাভাবিক সময়ের মতোই টার্মিনালে যাত্রীসংখ্যা রয়েছে। কোনো হাঁকডাকও নেই। অলস সময় পার করতে দেখা গেছে অনেক পরিবহন শ্রমিকদের। তবে ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী এনা পরিবহনসহ কয়েকটি রুটের বাস কাউন্টারে বেশ কয়েকজন যাত্রীকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতে দেখা গেছে।

টার্মিনালে আকরাম হোসেন নামের একজন যাত্রী বলেন, তিনি রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর থেকে দুপুর ১২টায় পরিবার নিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালে আসেন। পাঁচ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে এনা পরিবহনে ময়মনসিংহের টিকিট কেনেন। ১০ মিনিটের মধ্যেই বাস ছাড়ার কথা জানিয়েছে কাউন্টারে থাকা লোকজন।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ধরে ঢাকায় চাকরি করি। প্রতি বছর দুই ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাই। বিগত বছরগুলোতে টার্মিনালে মানুষের ভিড় ছিল। টিকিট পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। কিন্তু এ বছর টার্মিনাল ফাঁকা। যাত্রীচাপ নেই বললেই চলে।

আকরামের মতো টার্মিনালের অন্য যাত্রীরাও এবার ভ্রমণে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন। তবে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বলছেন, টার্মিনালে যাত্রী কম থাকায় ঈদযাত্রায় তাদের ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না।

এনা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা মাসুদ হোসেন বলেন, স্বাভাবিক সময়ে তাদের কাউন্টারে যেমন ভীড় থাকে, এখন সেরকমই। যাত্রীরা কাউন্টারে আসছেন, টিকিট কেটে গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন। কারো কোনো অভিযোগ নেই।

ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটে চলাচলকারী বিনিময় স্পেশাল সার্ভিসের সুপারভাইজার মো. হায়দার আলী জানান, গত চার-পাঁচ দিন কাউন্টারে যাত্রী চাপ ভালোই ছিল। আজ সকালেও কিছুটা চাপ দেখা গেছে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর পরিমাণও কমতে থাকে। এখন একটা বাসের ৭০ শতাংশ আসনের টিকিট বিক্রি করতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে।

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটের অনন্যা ক্লাসিক পরিবহনও ছিল ফাঁকা। যাত্রীর অপেক্ষায় টার্মিনালে বাস দাঁড়ানো। পরিবহন শ্রমিকরা ডেকেও তেমন যাত্রী পাচ্ছেন না।

এদিকে গাবতলী বাস টার্মিনালেও যাত্রীখরায় রয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। অনেক বাস মালিকই কাউন্টার বন্ধ রেখেছেন। তবে অল্পসংখ্যক যাত্রী দেখা দেখা গেছে বিভিন্ন কাউন্টারে। সহজেই টিকিট কিনছেন তারা। আবার টার্মিনাল থেকে বাসগুলোও নিজ নিজ গন্তব্যে ঢাকা ছাড়ছে।

জানা গেছে, ঢাকা-চুয়াডাঙ্গা-মুজিবনগর রুটে চলাচল করে নদিয়া পরিবহন। শুক্রবার এ পরিবহনের তিনটি ট্রিপ থাকলেও যাত্রীসংকটে তা বাতিল করে একটি ট্রিপ করা হয়েছে।

নদিয়া পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. সরফরাজ উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ১০টা, বিকেল সাড়ে ৫টা ও রাত সাড়ে ৯টায় গাবতলী থেকে আমাদের তিনটি বাস চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুই বাসের যাত্রী মিলছে না। তাই তিন বাসের বাসের যাত্রী এক বাসে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাসটি রাত সাড়ে ১০টায় ছেড়ে যাবে।

ঢাকা-চুয়াডাঙ্গা রুটে চলাচলকারী দর্শনা ডিলাক্সের কাউন্টার মাস্টার তারেক দিনার বলেন, যাত্রী পাচ্ছি না। তাই বাসও ছাড়তে পারছি না। আমাদের অবস্থা করুণ ভাই। সব যাত্রী পদ্মা সেতু হয়ে যাচ্ছে।

অপরদিকে সায়েদাবাদ বাস কাউন্টারে কিছুটা যাত্রীচাপ দেখা গেছে। বিভিন্ন পরিবহনে লোকজনরা হাকডাক দিয়ে যাত্রীদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।

যাত্রীরা কানউন্টার থেকে টিকিক কেটে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। বাস আসার সঙ্গে সঙ্গেই চড়ে নির্দিষ্ট আসনে বসছেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাস গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত