ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় না বিএনপি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ২২:৫২

পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় না বিএনপি
জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে? কারণ তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং জনগণের কোনও উন্নয়ন চায় না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তারা নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কা করে।

তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় না। বিএনপি কোন মুখ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ২৯টি আসন পেয়েছিল এবং নির্বাচনের ন্যায্যতা সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি। তারা ২০টি দল, কিন্তু মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল এবং পরে উপনির্বাচনে আরও একটি আসন পায়।’

২০১৮ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট পরাজয়ের ভয়ে সাধারণ নির্বাচন বয়কট করেছিল বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ওয়েস্টিন টোকিওতে আয়োজিত জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত চক্র ৭০টি সরকারি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করে ৫০০ জনকে হত্যা এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছিল। মানুষের যদি মানবিক গুণ থাকে, তাহলে তারা কখনোই মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে না। যারা এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা কোন মুখে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।

তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে দেশব্যাপী স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম বিএনপির সময় বন্ধ করে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনও প্রদত্ত সুবিধা বন্ধ না করে তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করে মানুষের মন জয় করা প্রয়োজন।

তিনি আরও যোগ করেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন তারা ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ, যারা ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা নেবেন তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন।

যারা বলতে চায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই তাদের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মনে করে বাংলাদেশে কেবল তখনই গণতন্ত্র ছিল যখন দেশে স্বৈরাচার, ভোট কারচুপি এবং হ্যাঁ বা না ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা হয়েছিল।

সূত্র: বাসস

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত