ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

মাতৃত্বকালীন জটিলতায় বছরে সাড়ে ৬ হাজার নারীর মৃত্যু

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ মে ২০২৩, ২০:৫১  
আপডেট :
 ০২ মে ২০২৩, ২১:০২

মাতৃত্বকালীন জটিলতায় বছরে সাড়ে ৬ হাজার নারীর মৃত্যু
ফাইল ছবি

মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতায় বছরে বিশ্বে প্রায় দুই লাখ নারী মারা যায়। এরমধ্যে শুধু বাংলাদেশেই সাড়ে ৬ হাজার নারী মারা যায় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।

মঙ্গলবার আইসিডিডিআরবি সেমিনার কক্ষে ‘বাংলাদেশে সেক্সুয়াল এবং জন্মধারণ স্বাস্থ্য অধিকার’ শীর্ষক কনফারেন্সে এ তথ্য জানানো হয়। অ্যাডসার্চ ও আইসিডিডিআরবি যৌথভাবে এ কনফারেন্সের আয়োজন করে।

কনফারেন্সে আইসিডিডিআরবি’র শিশু এবং মাতৃত্ব স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী বিজ্ঞানী ডা. মোহাম্মদ এহসানুর রহমান এ তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম বড় একটি বিষয় হচ্ছে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার বা জরায়ু পথে ক্যান্সার। যার কারণে প্রতি বছর বিশ্বে দুই লাখ ৮০ হাজার ৫০০ জন নারী মারা যান। আর এ কারণে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৪ হাজার নারী মারা যান। এছাড়া বিভিন্ন যৌন বা প্রজনন অঙ্গে সংক্রমণের কারণে সারাবিশ্বে মারা যান ৪৩ হাজার নারী। বাংলাদেশে এ সমস্যায় মারা যায় এক হাজারের মতো। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের এই সময়ে এসে ১ হাজার নারীর মৃত্যুও অতিরিক্ত। নারীদের আরও একটি বড় সমস্যা হলো প্রজনন অঙ্গ নিচের দিকে নেমে আসে। যার কারণে বিশ্বব্যাপী ২ হাজারের অধিক নারীর মৃত্যু হয়। যাতে আমাদের দেশে দেড়শ’র বেশি নারী মারা যায়।

ডা. মোহাম্মদ এহসানুর রহমান আরও জানান, স্বাস্থ্যজনিত কারণে অনেক সময় গর্ভপাত বা মিসক্যারেজ হয়ে থাকে। এ গর্ভপাত অনিরাপদ অবস্থায় হলে নারীর স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা বা মৃত্যু ঘটে। বিশ্বব্যাপী অনিরাপদ গর্ভপাতের ফলে প্রায় ২০ হাজার নারীর মৃত্যু হয়। এ কারণে বাংলাদেশে ১৫০ থেকে ২০০ জন নারীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও অন্যান্য মাতৃত্বকালীন সমস্যায় বছরে সাড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ নারীর প্রাণ চলে যায়।

এদিন আইসিডিডিআরবি সাসাকাওয়া অডিটোরিয়ামের সেমিনার কক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় গবেষণা ও উদ্ভাবন উৎসব। এই উৎসবে তরুণ গবেষকরা যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার নিয়ে তাদের ‘গবেষণা ধারণাপত্র’ ও ‘উদ্ভাবনী প্রস্তাবনা’ তুলে ধরেন।

এর আগে, অ্যাডসার্চ গবেষণা প্রস্তাবনা ও উদ্ভাবনী ধারণা আহ্বান করে। সেখান থেকে বাছাইয়ের মাধ্যমে ১০০টি গবেষণা প্রস্তাবনা ও ৫৭টি উদ্ভাবনী ধারণাকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়। পরে সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে বিশেষজ্ঞদের নম্বরের ভিত্তিতে সেরা ২২টি গবেষণা প্রস্তাবনা ও ২১টি উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপনের জন্য বাছাই করা হয়। সেখান থেকে দুটি বিভাগে সেরা ৩টিকে সম্মেলনের দিন বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল বুধবার(৩ মে) ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলা গ্র্যান্ড বল রুমে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার ও উদ্ভাবন নিয়ে দুটি বৈজ্ঞানিক সেশনের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বিশেষজ্ঞরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের উপস্থাপনা তুলে ধরবেন। এরমধ্যে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বাংলাদেশের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিস্তারে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনজন বিশিষ্টজনকে ‘এসআরএইচআর এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ প্রদান করা হবে।

এবছর অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন এবং বাংলাদেশের প্রজনন স্বাস্থ্য গবেষণা ও কর্মসূচির অগ্রদূত হালিদা আকতার হানুমকে এ সম্মাননায় ভূষিত করা হবে। সম্মেলনে উদ্ভাবন নিয়ে বেশকিছু স্টল বসানো হয়েছে। সেই সঙ্গে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজনও করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত