ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

গাসিক নির্বাচন: ভোগান্তি ছাড়াই ইভিএমে ভোট

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩, ১১:০৭  
আপডেট :
 ২৫ মে ২০২৩, ১৬:৫৪

গাসিক নির্বাচন: ভোগান্তি ছাড়াই ইভিএমে ভোট
ছবি: প্রতিনিধি

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হচ্ছে। প্রথমবার হলেও এতে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।

এদিন সকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে সকাল ৮টার আগে যেসব ভোটার কেন্দ্রে এসেছেন তাদের লাইনে দাঁড়াতে দেখা গেছে। এতে ছিলেন সব বয়সের নারী ও পুরুষ এবং সয়স্করা।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

সিটি করপোরেশন গঠনের পর তৃতীয়বারের মতো এ নির্বাচন হচ্ছে। নগরীর ৪৮০টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে। নির্বাচন কমিশন সিসিটিভির মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে এই নির্বাচন মনিটর করবে। এবারের নির্বাচনে ৩৫১টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তবে নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও সফল করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনসহ (ইসি) সংশ্লিষ্টরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো নগরী। নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার-ভিডিপিসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১৩ হাজার সদস্য।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এইচ এম কামরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ও কক্ষে একটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ব্যবহার করার জন্য পাঁচ হাজার ২৪৬টি ইভিএম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে, নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান ও দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী জায়েদা খাতুনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। জায়েদা খাতুন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় থেকে সদস্য পদত্যাগ করা মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা। মা প্রার্থী হলেও তার নির্বাচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন ছেলে জাহাঙ্গীর।

মেয়র পদে প্রার্থীরা হচ্ছেন

অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান (আওয়ামী লীগ-নৌকা), জায়েদা খাতুন (স্বতন্ত্র-টেবিলঘড়ি), এম এম নিয়াজ উদ্দিন (জাতীয় পার্টি-লাঙ্গল), আতিকুল ইসলাম (গণফ্রন্ট-মাছ), গাজী আতাউর রহমান (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-হাতপাখা), মো. রাজু আহম্মেদ (জাকের পার্টি-গোলাপ ফুল), মো. হারুন-অর-রশীদ (স্বতন্ত্র-ঘোড়া) এবং সরকার শাহনুর ইসলাম (স্বতন্ত্র-হাতি)।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি। সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত ৮টি থানার মধ্যে কাশিমপুর থানায় ৪৭টি, কোনাবাড়ি থানায় ৪৩টি, বাসন থানায় ৪২টি, সদর থানায় ৪৬টি, গাছা থানায় ৫৭টি, পূবাইল থানায় ৩২টি, টঙ্গী পূর্ব থানায় ১১১টি এবং টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৫২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।

জানা গেছে, গাজীপুর সিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৩৩ জন প্রার্থী। এরমধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরও পড়ুন...গাজীপুরে ভোটগ্রহণ সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করছে ইসি

বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত