ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

নরসিংদীতে ছাত্রদল নেতা হত্যা: খোকন-শিরিনসহ ৩০ জনের নামে মামলা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৩, ১৯:০৫  
আপডেট :
 ২৭ মে ২০২৩, ১৯:১৯

নরসিংদীতে ছাত্রদল নেতা হত্যা: খোকন-শিরিনসহ ৩০ জনের নামে মামলা
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা। ফাইল ছবি

নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুর রহমানসহ দুই নেতা হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কাশেম জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে নিহত ছাত্রনেতা সাদেকুর রহমানের ভাই আলতাফ হোসেন বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ৩৫/৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নরসিংদী যুবদল সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, বিএনপি নেতা কামাল হোসেন ও রাসেল নামে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহারে জানা যায়, নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের জেলা কমিটি ঘোষণার পর থেকে সাদেকুর ও মাইনুদ্দিনের সঙ্গে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ও সদস্য সচিব রিফাতের বিরোধ চলছিল। নাহিদ ও রিফাতের সমর্থন দিচ্ছিলেন খোকন।

সাদেকুর ও মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ বিভিন্ন কর্মসূচি চলছিল। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা। বিক্ষোভ মিছিলটি চিনিশপুর বিএনপির কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলো। পথে ভেলানগর পার হয়ে চিনিশপুর সড়কে প্রবেশ করা মাত্রই ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসাীরা বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ করেন। পরে তারা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে অনেক নেতাকর্মীকে আহত করে। ওই সময় সন্ত্রাসীরা সাদেকুরকে ঘেরাও করে খুব কাছ থেকে তার মাথায় গুলি করেন।

এ ঘটনায় আশরাফুল নামে আরও একজনকে গুলি করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পথেই সাদেকুর রহমান মারা যান এবং আশরাফুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন সকালে আশরাফুল মারা যান।

নরসিংদী সদর থানার ওসি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে ছাত্রদলের সভাপতি, মাইনুদ্দিন ভুঁইয়াকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট (আংশিক) কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

এরপর থেকে ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। এর জেরে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবীর খোকনের চিনিশপুরের বাসভবন ও জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে একাধিকবার হামলা, ভাঙচুর ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ

বাংলাদেশ জার্নাল/এমপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত