ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

এবার ফেসবুক লাইভে সব সার্টিফিকেট পোড়ালেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩, ১৯:৩৮

এবার ফেসবুক লাইভে সব সার্টিফিকেট পোড়ালেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী
সংগৃহীত ছবি

এবার ফেসবুক লাইভে সব সার্টিফিকেট পোড়ালেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুস সালাম। বয়স শেষ হওয়ায় সার্টিফিকেট সরকারি-বেসরকারি কোনো চাকরিতে কাজে লাগছে না দাবি করে সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ পৌরশহরে একটি রেস্টুরেন্টে সালাম তার সার্টিফিকেটগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেন। পরে সেই ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন। মুহূর্তেই তার পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকেই এর পক্ষে বিপক্ষে মন্তব্য করেন।

সরকারি চাকরির জন্য অসংখ্য আবেদন করেও চাকরি পাননি তিনি। এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সও শেষ। তাই তার সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেছেন। সার্টিফিকেট পোড়ানো ছবি ও ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন আব্দুস সালাম। মুহূর্তেই তার পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ে।

সার্টিফিকেট পোড়ানো আব্দুস সালাম মোহনগঞ্জ পৌরশহরের দেওথান গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে। শহরের স্টেশন রোডে ‘কুটুম বাড়ি’ নামে তার একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে। চাকরি না পেয়ে তিনি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করেন।

জানা গেছে, ২০০৬ সালে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০০৮ সালে ময়মনসিংহের আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন তিনি। পরে ঢাকা কলেজ থেকে দর্শন শাস্ত্রে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন সালাম। পড়াশোনা শেষে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরির জন্য একাধিক আবেদন করেও চাকরি মেলেনি। চাকরির বয়স শেষে হতাশ হয়ে নিজের শহরে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে সালাম বলেন, স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি। রেজাল্টও ভালো। কিন্তু অসংখ্য আবেদন করেও চাকরি হয়নি। অথচ অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরাও লবিং-ঘুষ এর মাধ্যমে চাকরি পেয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমার বয়স ৩৬ বছর। সরকারি-বেসরকারি কোনো চাকরিতেই আর আবেদনের সময় নেই। অকেজো এই সার্টিফিকেট তাই পুড়িয়ে দিলাম। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানাই।’ বয়সসীমা সবার জন্য না বাড়িয়ে সার্টিফিকেট পোড়ানোর কারণে ইডেন কলেজের ছাত্রী মুক্তাকে চাকরি দেওয়া ঠিক হয়নি উল্লেখ করে সালাম বলেন, ‘এটা মন্ত্রী মহোদয় ঠিক করেননি। একজনের জন্য আলাদা নিয়ম হতে পারে না। সবার জন্য চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো দরকার। তাহলে সবাই এই সুযোগটা পাবে।

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, এভাবে সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলা ঠিক নয়। পড়াশোনা আসলে চাকরি পাওয়ার জন্য নয়, জ্ঞান অর্জনের জন্য। এ জ্ঞান জীবনের সবক্ষেত্রেই কাজে লাগবে। সবার তো চাকরি হয় না। তাই চাকরির চেষ্টার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে।

আরো পড়ুন: সার্টিফিকেট পোড়ানো সেই মুক্তার চাকরি হলো আইসিটি মন্ত্রণালয়ে

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত