রুমায় কেএনএফের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প দখল, আইইডি বিস্ফোরণে সেনা সদস্যের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩, ১৮:৫৮ আপডেট : ০১ জুন ২০২৩, ১৯:০৪

বান্দরবানের রুমা উপজেলার ছিলোপি পাড়া এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফের) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সদরদপ্তরসহ একটি গোপন প্রশিক্ষণ ক্যাম্প দখল করেছে সেনাবাহিনী।
|আরও খবর
অভিযানকালে ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণে এক সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প বিষয়ে ওই এলাকার আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা সেনাবাহিনীকে অবহিত করেন। পরে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা সেনা জোনের একটি টহল দল বৃহস্পতিবার সকালে ওই ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। কেএনএফ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের কাছাকাছি পৌঁছালে সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি পালিয়ে যায়।
আনুমানিক সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সেনা টহল দলটি সন্ত্রাসীদের বিক্ষিপ্তভাবে পুঁতে রাখা আইইডি (ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বোমার কবলে পড়ে। বিস্ফোরণে আহত হন তুজাম নামে একজন সেনাসদস্য। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক তুজামের মৃত্যু হয়।
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত দল এ ধরনের আরও সম্ভাব্য আইইডি শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয় প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা শহীদ সেনা সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। শোক বার্তায় তিনি বলেন, সেনা সদস্যের মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করেছি ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছি।
আইএসপিআর জানায়, সম্প্রতি কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার পাহাড়ি জনপদে ক্রমাগত হত্যা, অপহরণ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করে আসছিল। তাদের প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।
আরো পড়ুন: বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ সেনা সদস্য নিহত
বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/আরকে