ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

যুবককে খুন করে পালানোর চেষ্টা, খুলনায় ধরা

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩, ০১:০৬  
আপডেট :
 ০৬ জুন ২০২৩, ০২:০০

যুবককে খুন করে পালানোর চেষ্টা, খুলনায় ধরা
ছবি: প্রতিনিধি

চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আজাদুর রহমান নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুনের মামলায় দুই মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) পুলিশ। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি ছোরা জব্দ করা হয়। তারা হত্যার পর সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।

রোববার (৪ জুন) খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার শোলাদানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-বন্দর ও পশ্চিম) উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, আবুল হাসনাত রাজু (৩৪) ও ওসমান (৩৫)। তারা নগরের হালিশহরের নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গত ২৯ মে আজাদুর রহমান হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাঙামাটি জেলার কোতয়ালী থানা একটি আবাসিক হোটেল থেকে আবু তাহের রাজীব, দেলোয়ার হোসেন জয়, মো. রায়হান সজীব ও নগরের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আবুল হাসনাত রানাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৭।

উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান, মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযানে নামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোববার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার শোলাদানা এলাকা থেকে হত্যার দুই মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি ছোরা জব্দ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আজাদের সাথে স্থানীয় নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকার চাঁদা আদায়ের বিষয় নিয়ে গ্রেপ্তার আবুল হাসনাত রাজু এবং ওসমানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ মে ভোর সাড়ে ৪টায় আজাদের বাসার গলির সামনে নয়াবাজার রোডে আবুল হাসনাত রাজু এবং ওসমান তাদের অপর সহযোগীদের নিয়ে আজাদকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।

জানা যায়, গত ২৭ মে রাতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নগরীর নয়াবাজার এলাকার একটি কারখানার গেটের সামনে প্রশ্রাব করছিল। কারখানার নৈশপ্রহরী মফিজ তাকে বাধা দেন। এতে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আবু তাহের রাজীব, ওসমান, আবুল হাসান এবং অজ্ঞাত আসামিরা এসে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। বড় ভাই মফিজের সঙ্গে কথা কাটাকাটির শব্দ শুনে ভিকটিম আজাদুর রহমান ঘটনাস্থলে গেলে তার সঙ্গেও কথা কাটাকাটি এবং ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় আসামিরা ভিকটিমকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনার জের ধরে গত ২৮ মে ভোরে আজাদুর রহমান দোকান থেকে নাশতা আনার জন্য বাসা থেকে বের হন। পথে পাহাড়তলী থানার নয়াবাজারে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে একা পেয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আহত অবস্থায় আজাদ তার ভাতিজা তারেকুর রহমানের কাছে তার ওপর আক্রমণকারিদের নাম প্রকাশ করেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে জানায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত