ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

নাটোরে কলেজে শক্তিশালী বোমা, উদ্ধারে র‌্যাব-পুলিশ

  নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৩, ১৯:০৫

নাটোরে কলেজে শক্তিশালী বোমা, উদ্ধারে র‌্যাব-পুলিশ
বোমাটি উদ্ধারে কাজ করছে র‌্যাব ও পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সরকারি টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর পার্সেল হিসেবে এসেছে বোমা। শনিবার দুপুরে কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ের পাশে বোমাটি শনাক্ত করা হয়।

বেলা দুইটার দিকে র‌্যাব-৫ (রাজশাহী)-এর বোমা ডিসপোজাল ইউনিট এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেই পার্সেলে বোমা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। বোমাটি উদ্ধারে কাজ করছেন র‌্যাব ও পুলিশের সদস্যরা। এ নিয়ে কলেজ ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

র‌্যাব-৫-এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের প্রধান ল্যান্স কর্পোরাল লাবু খন্দকার বলেন, ‘প্লাষ্টিকের ওই ল্যাগেজে শক্তিশালী বোমা রয়েছে। আমরা প্রায় ঘন্টাব্যাপী সার্কিট ডিটেকটর দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বোমা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে শক্তিশালী বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার মতো যন্ত্রপাতি নেই। বোমাটি নিষ্ক্রিয় করতে উচ্চতর ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি ও বোমা বিশেষজ্ঞ দল আসার জন্য ঢাকায় র‌্যাবের হেডকোয়ার্টারে খবর পাঠানো হয়েছে। তারা আসলেই বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা থেকে বোম্ব নিষ্ক্রিয়কারী বিশেষ টিম না আসা পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জায়গাটি বিশেষ নজরদারিতে রাখবে বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

কলেজ কর্তৃপক্ষের বরাতে পুলিম জানায়, গুরুদাসপুর পৌর শহরের সরকারি বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের অফিস কক্ষের দরজা ঘেঁষে কারা যেন প্লাষ্টিকের বস্তায় মোড়ানো একটি ল্যাগেজ রেখে যান। লাগেজের ওপরে লেখা ‘প্রিন্সিপাল বঙ্গবন্ধু কলেজ, গুরুদাসপুর- আম্রপালি ৩০ কেজি’।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমি কলেজে আসি। দরজার সঙ্গে লাগোয়া কার্টনে বিশেষবার্তা লেখা থাকায় আমার সন্দেহ হয়। পরে থানা পুলিশকে খবর পাঠাই।’

গুরুদাসপুর থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘অধ্যক্ষের ফোন পেয়ে সেখানে একদল পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশেরও সন্দেহ হলে প্যাকেটটি খুলতে র‌্যাবে খবর পাঠানো হয়। বেলা ২টার দিকে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এসে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেখানে বোমা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে চলে যায়।’

অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম জানান, কলেজটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি পক্ষের সাথে মামলা মোকদ্দমা চলছে। ওই বিরোধের জেরে সম্প্রতি প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ও কলেজটি উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।

বিরোধ থেকেই প্রতিপক্ষ তার অফিস কক্ষের সামনে বোমা পেতে রাখতে পারেন বলে ধারণা তার।

আরও পড়ুন: বেনাপোলে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত