ঢাকা, রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিয়ের দাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে যুবলীগ নেতার স্ত্রী

  কৃুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২০:৩৪

বিয়ের দাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে যুবলীগ নেতার স্ত্রী

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সায়েম হোসেন সুজন, একই উপজেলার যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আবু ওবাইদা সাফির স্ত্রী জুয়েনা হোসেন লিমার সঙ্গে গড়েন পরকীয়ার সম্পর্ক।

সম্প্রতি ছাত্রলীগ নেতা সুজন ও লিমার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু দৃশ্য ভাইরাল হয় ইন্টারনেটে। ব্যাপারটি জানাজানি হলে যুবলীগ নেতা সায়েম তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় খোকসা শহরের চুনিয়াপাড়া এলাকায় ছাত্রলীগ সভাপতি সুজনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয় লিমা। আর ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে গেছে সুজনসহ তার পরিবারের সদস্যরা ।

ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

জানা গেছে, সাফির সঙ্গে প্রায় ১২ বছর আগে বিয়ে হয় লিমার। তাদের ঘরে লাব্বিব মাহমুদ লিপু (১০) নামে একটি ছেলে সন্তানও আছে। গত দেড় বছর আগে সাফি জেলে থাকাকালীন তার স্ত্রী লিমার সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুজনের পরকীয়া সম্পর্ক হয়। সম্প্রতি তাদের দুজনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে গত জানুয়ারি মাসে সাফি তার স্ত্রী লিমাকে তালাক দেন।

এরপর লিমা ঢাকার কেরানীগঞ্জে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। সংসার ভাঙার পর সুজনকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে লিমা। কিন্তু সুজন বিয়ে না করে নানা তালবাহানা করেন। গত সপ্তাহে সুজন বিয়ে করতে পারবে না বলে লিমাকে জানিয়ে দেন। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় লিমা চুনিয়াপাড়ায় সুজনের বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু সুজনের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তালা দিয়ে চলে যান। পরে তালা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করেন লিমা। বর্তমানে ওই বাড়িতে লিমা একাই অবস্থান করছেন।

লিমা জানান, ‘সুজনের সঙ্গে দুই বছর ধরে আমার সম্পর্ক চলে আসছে। এই সম্পর্কের কারণেই আগের সংসার ভেঙে গেছে। এখন সুজন বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই সুজনের বাড়িতে এই অবস্থায় আসতে হয়েছে।’

লিমার সাবেক স্বামী সাফি জানান, দেড় বছর আগে আমি জেলে থাকার সুযোগ নিয়ে সুজন আমার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিছু দিন আগে ওদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে পরে আমি সুজনের হাত ধরে অনেক অনুরোধ করেছি। ওকে বারবার বলেছি আমাদের সুখের সংসার ভাঙার দরকার নেই। কিন্তু দুজনই আমার কথা শোনেনি। এ ঘটনায় আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে অনেক ক্ষতি হয়েছে। ওরা যা খুশি করুক, আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।

এ বিষয়ে জানেত সুজনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এস/এ/জে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত