মেজরসহ নানা পরিচয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:৪৯
মেজর পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতের নাম- মো. মহিউদ্দিন মজুমদার(৪৭)। গত বুধবার মধ্যরাতে রাজধানীর মোৃহাম্মদপুর থানার টিক্কা পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল, ছয়টি সিম, দুটি সিল, চেক বই এবং সরকারী গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দপ্তরের নাম, ঠিকানা সম্বলিত প্যাড উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে একটি চক্র নিজেদেরকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সরকারী, বেসরকারী উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি, এমডি সেজে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছ মালামাল কেনার আদেশ দিয়ে ভুয়া চেক দিয়ে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছে। এছাড়াও তাদের একটি সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্র রয়েছে যার মাধ্যমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীর সাথে ভূয়া নাম পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়িক লেনদেন করে এবং ভূয়া চেক দিয়ে জালিয়াতি করে
সম্প্রতি বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী র্যাব-২ এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শিহাব করিম আরও বলেন, মহিউদ্দিন মজুমদার নিজেকে বড় বড় সরকারী উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি, এমডি ও বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে মালামালের ক্রয়াদেশ দেন। পণ্য সরবরাহকারীকে দেয়া কাগজে ব্যবহার করেন সরকারী গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের নাম, ঠিকানা ও সীলমোহর। এরপর কিনে নেয়া এ সকল মালামালের টাকা তিনি নগদ পরিশোধ না করে বাহকের মাধ্যামে চেক পাঠিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী কোম্পানী ওই চেক দিয়ে টাকা উঠাতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় চেক গুলো ভুয়া। ভুক্তভোগীরা আসামিকে ফোন দিলে আসামির মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। চক্রটির স্থায়ীভাবে কোন অফিস না থাকলেও বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ীদের কাছে বিশ্বাস অর্জনের জন্য ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নিয়ে মালামাল ক্রয়ের ডিল ফাইনাল করতেন।
তিনি আরও জানান, মহিউদ্দিন কোম্পানী থেকে মালামাল আনার জন্য নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার না করে অ্যাপস ভিত্তিক ভাড়া গাড়ি দিয়ে মালামাল নিতেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারও হন প্রতারক মহিউদ্দিন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও প্রতারণা শুরু করেন।
তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ছ্যটির বেশি প্রতারণার মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বাসচাপায় সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ নিহত ৩
বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/আইজে
