ঢাকা, রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুলিশ হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:১৫

পুলিশ হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু
পুলিশ হেফাজতে মৃত সাবেক দুদক কর্মকর্তা এসএস শহীদুল্লাহ, ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানা পুলিশের হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তা এসএস শহীদুল্লাহর (৬২) মৃত্যু হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সাবেক উপপরিচালক ছিলেন। ২০০৭ সালের ১২ জুলাই তিনি অবসর গ্রহণ করেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে নগরীর বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকায় মুহুরী বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, একটি সিআর মামলার ওয়ারেন্ট এর ভিত্তিতে রাত ১১টার দিকে সাবেক দুদক কর্মকর্তা শহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অসুস্থতা বোধ করলে তাকে দ্রুত বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শহিদুল্লাহর ছেলে ক্যাপ্টেন নাফিস শহিদ বলেন, রাত ১১টার দিকে চান্দগাঁও থানার দুজন এএসআই গিয়ে বাবাকে থানায় নিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে আমার চাচারা থানায় যান। উনি হার্টের পেশেন্ট, ওনার ইনহেলার আর মেডিসিন লাগে সবসময়। বাবাকে থানায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফটক বন্ধ করে দেন। ইনহেলার ও মেডিসিনও বাবার কাছে পৌঁছাতে দেয়নি। পরে ১২টার দিকে বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এরপর বাবাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো জানান, জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল, তবে এই বিরোধে কোনো মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিলো কি-না তা তাদের জানা নেই। পুলিশ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না দেখিয়ে বাবাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

মৃত এসএম শহীদুল্লাহর ছোট ভাই একরাম উল্লাহ বলেন, আমার ভাই অসুস্থ ছিলেন। পুলিশ তাকে জোর করে থানায় নিয়ে যায়। ওষুধ খাওয়ার সময়টাও দেয়নি। এরপর থানায় নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণে আমার ভাই মারা যান।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-উত্তর) পংকজ দত্ত মৃত্যুর গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি সিআর মামলায় রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের ১৫ মিনিট পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত পার্ক ভিউ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চান্দগাঁও থানার ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, ওয়ারেন্টমূলে সৈয়দ মোহাম্মদ শহিদুল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এবং আমাদের পরিচিত ছিলেন। যথাযথ সম্মান দিয়ে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে। তাঁকে আমার রুমে নিয়ে বসানো হয়েছিল। সেখানে অসুস্থতা অনুভব করায় নিয়ম অনুসারে অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় সিএনজি অটোরিকশা করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএপি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত