ঢাকা, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

হরতাল-অবরোধে নাশকতা অ্যাপে দেয়া হয় নির্দেশনা: সিটিটিসি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ২১:৩৭

হরতাল-অবরোধে নাশকতা অ্যাপে দেয়া হয় নির্দেশনা: সিটিটিসি
ফাইল ছবি

বিএনপির ডাকা ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও এক দফা দাবি আদায়ে লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে গণপরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। এসব নাশকতার নির্দেশনা আসছে বিশেষ এনক্রিপ্টেড অ্যাপসের মাধ্যমে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।

বাসে অগ্নিসংযোগের সময় গ্রেপ্তার হওয়া একাধিক ব্যক্তিসহ নানাভাবে এমন তথ্য প্রমাণ পাওয়ার কথাও জানিয়েছে সিটিটিসি।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সিটিটিসি প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর হরতাল ও লাগাতার অবরোধ দেয়া হয়েছে। এই অবরোধে তারা তিনটি কৌশলে আগুন দেয়। যাত্রীবেশে বাসে উঠে পেছনে সিটে বসে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে নেমে যায়। পরিত্যক্ত বা পার্কিং করে রাখা বাসে তারা আগুন দেয়। এরপর হঠাৎ চলার পথে বাসে আগুন দেয়। বিভিন্ন স্থানে আমরা বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন দেয়ার সময়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন রাজধানীর মুগদায় আইডিয়াল স্কুলের সামনে বাসে আগুন দেয়ার সময়ে হাতেনাতে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মাধ্যমে আমরা এই নাশকতার সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছি। তদন্তে আমরা পেয়েছি- এই নাশকতার পেছনের অর্থদাতা, নিয়োগদাতাসহ সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে আমরা নির্দেশনার তথ্য পেয়েছি। নাশকতাকারীদের ওপর নির্দেশনা ছিল যতবেশি গাড়িতে আগুন দেয়া যায়। এগুলো সবই হয়েছে রাজনৈতিক কর্মসূচি। এমন কি বিশ্ববিদ্যালয়, বিআরটিসি বাসেও আগুন দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাসে আগুন দেয়ার জন্য প্রথমে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়। পরে দ্বিতীয় দফার অবরোধ কর্মসূচিতে দ্বিগুণ টাকা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখনো বাসে আগুন দেয়া হচ্ছে। এমন কি সোমবার যাত্রাবাড়ীতে আগুন দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সিটিটিসির গোয়েন্দাদের তৎপরতায় নাশকতাকারীরা ব্যর্থ হয়েছে। আগাম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশ কিছু ঠেকিয়ে দিয়েছি। অথচ রাজধানীতে রাজনৈতিক কোনো মিটিং মিছিল নেই। বরং চোরাগোপ্তা হামলা করা হচ্ছে। যদিও এখন সাধারণ মানুষ নাশকতাকারীদের প্রতিরোধ করছে। তারা ধরিয়ে দিচ্ছে।

পুলিশের তৎপরতার মধ্যেও এ ধরনের নাশকতার নির্দেশদাতা কারা জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, সশরীরে কর্মসূচি নেই। এখন তারা অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করছে। জঙ্গি সংগঠনগুলো যে আদলে তাদের কর্মকাণ্ড চালায়। তাদের কার্যক্রম চালাতে এনক্রিপ্টেড অ্যাপসের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে। অনলাইনের বিভিন্ন সুরক্ষিত মাধ্যমে জঙ্গিরা যোগাযোগ করে।

তিনি বলেন, নাশকতার ক্ষেত্রেও এই ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করছে। হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবারসহ বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষিত এনক্রিপ্টেড অ্যাপস ব্যবহার করছে। এই ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে যোগাযোগ করছে। এই ধরনের অ্যাপসে ছোট ছোট গ্রুপ খুলে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এই ধরনের সুরক্ষা ভেঙে তথ্য নিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/এসএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত