পরিবারে ফিরে যা বললেন অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৮
বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। বান্দরবান জেলা সদরের পার্বত্য জেলা পরিষদের অডিটরিয়াম হলে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ সময় নেজাম উদ্দিন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন ভালো আছি। ধন্যবাদ র্যাব বাহিনীকে। আমার সোনালী ব্যাংকের এমডি ও জিএম, সব সহকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যারা আমার জন্য দোয়া করেছেন, সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, আমার এমডি সরাসরি ঢাকা থেকে এখানে চলে এসেছেন। তার এই ঋণ শোধ করতে পারবো না আমি। জিএমসহ সবাইকে ধন্যবাদ। যারা আমার দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন, সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
এদিকে অপহরণ হওয়ার তিন দিন পর স্বামীকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ব্যাংক ম্যানেজারের স্ত্রী মাইসুমা ইসলাম। তিনি বলেন, তিন দিন রুদ্ধশ্বাস সময় কেটেছে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন; নিরপরাধ মানুষটাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। এটি শুধু আমার স্বামীর ফিরে আসা নয়, এটি একটি জীবনের বিজয়।
মাইসুমা ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করার পর র্যাবের কর্মকর্তারা তাকে ফোন করেছিলেন। পরে তিনি র্যাব কার্যালয় গিয়ে স্বামীর সঙ্গে দেখা করেন। রাতে তার স্বামী র্যাবের কাছেই ছিলেন। পরে সকালে তার স্বামীকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বান্দরবানের রুমায় অপহরণের শিকার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়। এক্ষেত্রে সহায়তা করেছে গোয়েন্দা সংস্থা, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও জনসাধারণ। সংবাদ পাওয়ায় পরপরই সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজারকে নিরাপদে উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় র্যাব। আর তাকে উদ্ধার করার পর নতুন ছক নিয়ে র্যাবের কার্যক্রম শুরু হবে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে র্যাবের হেফাজতে থাকা রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে হাজির করা হয়। তাকে নিরাপদে উদ্ধার করতে পারায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নেজাম উদ্দিন ও তার পরিবার।
এর গত মঙ্গলবার রাতে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা। ব্যাংকের ভল্টের চাবি না পেয়ে তারাবির নামাজ চলাকালে মসজিদ থেকে নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে তারা। এসময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র লুট করে দুর্বৃত্তরা।
এর রেশ না কাটতেই পরদিন (বুধবার, ৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে থানচি বাজারে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় সাধারণ গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে ডাকাত দল।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফএম