ঢাকা, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার: রিজভী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৫

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার: রিজভী
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার রিজভী। ছবি: প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে বিএসএফ কতৃর্ক গতকাল নিহত হাসান মিয়াসহ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী মানুষদের নির্বিচারে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা মনে হয় পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান।

রিজভী বলেন, সরকার প্রধানের ইচ্ছায় এদেশে আইনের প্রয়োগ হয়। প্রচলিত ফৌজদারী, দেওয়ানীসহ সকল আইন শেখ হাসিনার সংস্করণ অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হয়। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর বাংলাদেশের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠেন শেখ হাসিনা।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দুরে রাখার জন্যই যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করা হয়েছে তা আজ দেশ-বিদেশে সর্বজনবিদিত জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টেও সেটি উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বাংলাদেশের গুম, খুন, গুপ্তহত্যা, কারানির্যাতনসহ ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সেখানে আরও বলা হয়েছে-অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বলা হয়েছে।

রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে দেশবাসী এতদিন যা মনে করেছে তা মার্কিন প্রতিবেদনেও সেটি উঠে এসেছে। ডামি প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা আবারও প্রমাণিত হলো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা পেলে বিরোধী শক্তিসহ গণতন্ত্র স্বীকৃত নাগরিক স্বাধীনতাকে নিশ্চিহ্ন করা যায়। আর আইন-আদালত প্রবল প্রতাপশালী একনায়কের ‘নির্দেশপত্র’ মোতাবেক চলে, যেমনভাবে শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নিজের মামলাগুলিকে নিরুদ্দেশ করেছেন। বিরোধী দলকে দমনের বিপুল প্রচেষ্টা সার্থক করতে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও ধারাবাহিক খুনের এক ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বাতাবরণ তৈরি করা হয়। সুষ্ঠু ভোট, নির্বাচন, ভোটাধিকার কবরে শায়িত থাকে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত