পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দুই মামলা, ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৪
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার সকালে সদর থানায় পৃথক মামলা দুটি দায়ের করা হয়। একটি মামলায় তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলুকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। অন্য আরেক মামলায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আঁধার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরীর লোকজন পুলিশ ও আনসার সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এবং রামগতি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলমের গাড়ির ভাঙচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ রাউন্ড রাবার বুলেট, চার রাউন্ড গ্যাস সেল এবং দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্যানেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় সদর থানার (উপ-পরিদর্শক) কাউসার বাদি হয়ে অজ্ঞান ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
একই সময় ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শহর কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স নিয়ে আসার সময় এক পক্ষ পুলিশকে বাঁধা দেয়। সেখানে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলুকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুলুকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০-৫০০ জনকে বিবাদি করে মামলা করা হয়। মামলার বাদি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন। ওই মামলায় চেয়ারম্যান ভুলু এবং নাজিম উদ্দিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওএফ