ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ আপডেট : ২০ মিনিট আগে
শিরোনাম

হিটস্ট্রোকে এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু!

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৩

হিটস্ট্রোকে এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু!
হিটস্ট্রোকে এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু!। প্রতীকী ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে প্রতিনিয়তই অসুস্থ হচ্ছে মানুষ। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সবাই আক্রান্ত হচ্ছেন মৌসুমি রোগে। হিটস্ট্রোকে গত এক সপ্তাহে সারা দেশে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) হিটস্ট্রোকে তিনজন মারা যান। তিনজনই পুরুষ। এদিকে গত এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর সোমবার (২৯ এপ্রিল) চালু হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তবে প্রথম দিনের পরিস্থিতি সুখকর নয়।

এক সপ্তাহ আগে থেকে হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে হিটস্ট্রোকের রোগীর তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেছে। গত ২২ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু ও পাঁচজনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি), বমি বমি ভাব থাকে, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, ঘাম হতেও পারা আবার নাও পারে, ত্বক গরম ও শুষ্ক অথবা স্যাঁতসেঁতে থাকতে পারে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি সামঞ্জস্যহীন আচরণ করে, তার কথা জড়িয়ে যায়, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানায়, এ পর্যন্ত সারা দেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া দশজনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।

মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা ধারণা করছেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রথমত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন শুধু সরকারি হাসপাতালের হিসাব নিচ্ছে, দেশের বিপুলসংখ্যক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কোনো রোগী যাচ্ছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, রোগীর কোন লক্ষণ দেখে হিটস্ট্রোক শনাক্ত হবে সেই ধারণাও চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে পরিষ্কার ছিল না।

অতিসম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে এবং সেই নির্দেশিকা অনুসরণ করে সরকারি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ পাওয়া চিকিৎসকেরা যাকে হিটস্ট্রোকের রোগী বলছেন, তারাই হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের হিসাবে থাকছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ/ওএফ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত