জনদুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি থেকে বিরত থাকুন, শিক্ষার্থীদের ওবায়দুল কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৪, ১৩:৩৬ আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৪, ১৩:৪৬
কোটার বিষয়ে উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত জনদুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের জারি করা কোটা বাতিলের পরিপত্র বাতিল করেছেন উচ্চ আদালত। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আপিলও করা হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে জনদুর্ভোগ পরিহার করুন। যে বিষয়টা আদালতের, সেই বিষয়টা নিয়ে কথা বলা, সমালোচনা করা বা প্রতিবাদ করা আইনসিদ্ধ নয়, বলে জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকাশ্যেই বিএনপি ও তার সমমনারা কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তারা প্রকাশ্যে সাপোর্ট করেছে এর মানে তারা এর মধ্যে অংশগ্রহণও করছে। কাজেই এখন এটা পোলারাইজড পলিটিক্সের মধ্যেই পড়ে গেছে। এটার পলিটিক্যাল কালার আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
তিনি বলেন, এখানে কারা কারা যুক্ত আছে, কোন ষড়যন্ত্রের অংশ কি না সেটা আন্দোলনের গতিধারার মধ্যেই বুঝা যাবে। সময়ের পরিবর্তনে সবকিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে। কোন কিছুই লুকানো সম্ভব হবে না, সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
যে কোন আন্দোলনে রাজনৈতিক দল তো তার চিন্তা ধারা অনুযায়ী সমর্থন জানাতেই পারে, সেটার সমালোচনা কেন করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আদালতের বিরুদ্ধে আন্দোলন পৃথিবীর কোন দেশে কোন রাজনৈতিক দল সম্পৃক্ত হয়, দেখান? এটা বিচারাধীন। কোন রাজনৈতিক দল পারে না এইভাবে। এটা তো আদালতের রায়।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, তারা যে আন্দোলনটা করছে সেই সিদ্ধান্ত ছিলো সরকারের। সরকারই আপিল করেছে। যে বিষয়টা আদালতের, সেই বিষয়টা নিয়ে কথা বলা, সমালোচনা করা বা প্রতিবাদ করা এটা তো আইনসিদ্ধ নয়।
কোটা আন্দোলন নিয়ে করা আরেক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা আপিল করলাম, এখনো আদালত চূড়ান্ত রায় দেয়নি। এখানে আমরা কিভাবে ইন্টারফেয়ার করি? আমরা বলছি জনদুর্ভোগ হয় এমন আন্দোলন পরিহার করা উচিত। আদালতের রায় হউক তারপর দেখা যাবে।
সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, স্কিম মুখ থুবড়ে পড়বে কেন? এখানে ভুল বুঝাবুঝি থাকতে পারে। তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। আনুষ্ঠানিক বসা হয়তো হয়নি। সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাস্তব পরিস্থিতির আলোকে। এখানে আমলা সুপিরিয়র না শিক্ষক সুপিরিয়র সে বিতর্কে আমরা যাবো না। যার যার পদমর্যাদার ভিত্তিতে যেটা বাস্তবসম্মত আমরা সেটাই করতে চাই।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর প্রমুখ ছিলেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসবিটি